বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
এম এ আলম বাবলু,পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরে অবস্থিত রেলওয়ে বৃহৎ ও একমাত্র কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) স্বল্প জনবল দিয়েই চলছে নির্ধারিত কার্যক্রম। এরই মাঝে অত্যান্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করা হয়েছে আমিরিকা থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিনের কমিশনিং ওয়ার্ক।
সেই সাথে স্বল্প জনবল নিয়েও নিয়মিত আউট টার্নের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সফলতা দেখিয়ে চলেছে এই কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানার প্রধান নির্বাহী (সিইএক্স) প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সফলতার সাথে কারখানার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র বৃহৎ কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় (কেলোকা) রেলওয়ে ইঞ্জিনের ভারী মেরামত কাজ হয়ে থাকে। কাজের পরিধি হিসেবে এই কারখানায় যে পরিমান জনবল থাকার কথা রয়েছে কিন্তু বাস্তবে জনবল রয়েছে তার চেয়ে অনেক কম।
সংকট রয়েছে খুচরা যন্ত্রাংশের। এর পরেও বিদ্যামান রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। সব কিছুকে পাশ কাটিয়ে দক্ষতা সম্পূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরালস প্রচেষ্টায় অত্যান্ত সফলতার সাথে এগিয়ে চলেছে কারখানার কার্যক্রম।
বিগত কয়েকটি অর্থ বছরে এই কারখানায় (কেলোকা) কাজের নির্ধারিত আউট টার্নের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়েছে। এ সময়ে বেশ কয়েকটি অকেজো রেল ইঞ্জিন মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। আমিরিকা থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক মানের রেল ইঞ্জিন এই কারখানায় কমিশনিং ওয়ার্ক শেষে রেল বহরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে আমদানিকৃত মোট ৪০ টি রেল ইঞ্জিন এই কারখানায় কমিশনিং ওয়ার্ক শেষে রেল বহরে সংযুক্ত হয়েছে। কমিশনিং ওয়ার্ককিংএ আমিরিকান টেকনিক্যাল টিমের সাপোর্টে বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ প্রকৌশলী ও কর্মচারীরা নিরালস ভাবে কাজ করেছেন।
এ ছাড়াও স্বল্প জনবল নিয়েই নিয়মিত কাজের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে প্রতিনিয়ত সফলতা দেখিয়ে আসছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। আর এর সবই সম্ভব হচ্ছে কারখানার বর্তমান সিইএক্স এর কর্মদক্ষতার কারনে।
জানা গেছে,রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানায় জনবল বরাদ্দ রয়েছে ৭২৪ জন। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে ২৩১ জন। গত অর্থ বছরে এই কারখানা থেকে ১৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে গেছেন। প্রতি বছরেই এ ভাবে অবসরের কারনে জনবল সংকট বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু সে হারে জনবল নিয়োগ হচ্ছে না। এই কারখানায় নব নিয়োগকৃত খালাসি দেওয়া হয়েছে মাত্র ১১ জন। তুলনা মূলক ভাবে নিন্ম পদে জনবল বরাদ্দ কম। খালাসী পদে বরাদ্দ রয়েছে ৫০ জন। ফলে আউট সোর্সসিং জনবল দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।
পার্বতীপুর রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানার (কেলোকা) প্রধান নির্বাহী (সিইএক্স) ২৪ তম বিসিএস রেলওয়ের চৌকস অফিসার প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সমস্যা সহ জনবল সংকট থাকা সত্বেও কাজ পিছিয়ে নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই এই কারখানার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেই সাথে নিয়মিত কাজের নির্ধারিত লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হচ্ছে।
রেলওয়ে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানাকে সক্রিয় করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ সহ খুরচা যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন পার্বতীপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আমজাদ হোসেন। দেশের বৃহৎ এই রেলওয়ে কারখানাটি সচল রাখতে সকল চাহিদা মিটাতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।