এম এ আলম বাবলু,পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
পার্বতীপুরে গ্রীষ্মকালীন সবজি বাঁধাকপি চাষে রতন চন্দ্র রায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তাঁর এই সফলতা দেখে অন্যরাও কপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়ন এর চন্দ্রপুর গ্রাামের যুবক রতনচন্দ্র রায় গ্রীষ্মকালে বাঁধাকপি চাষ করে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। তাঁর চাষ করা বাঁধাকপির ফলন বেশ ভালো হওয়ায় অধিক মূল্যে বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশা করছেন। বর্তমান বাজারে এ সবজির চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় এই প্রত্যাশা করছেন তিনি।
মোমিনপুর চন্দ্রপুরের ধঞ্জায় রায়ের ছেলে রতনচন্দ্র রায়ের বাড়ি সংলগ্ন জমিতে চাষ করা হয়েছে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির। বাঁধাকপি চাষি রতনচন্দ্র রায় বলেন, আমার স্ত্রী ববিতা রানী দিনাজপুর অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মোমিনপুর টেকসই কৃষি উন্নয়ন গ্রুপের সদস্য,সেই সুবাদে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষে আগ্রহ জাগে, রোগ বালাই না হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির ফলন ভালো হয়েছে।
শীতের সবজি গ্রীষ্মের বাজারে চাহিদা ভালো হওয়ায় কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দাম পাওয়া যাবে। সে ১৩ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছে। এগুলো বিক্রি করলে খরচ বাদে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা লাভ থাকবে। তিনি আরোও বলেন, গ্রীষ্মে বাঁধাকপির ফলন নিয়ে প্রথমে শঙ্কা থাকলেও কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে। সেচ ও সার কম লাগায় শীতের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে বাঁধাকপি চাষ করে ভালো লাভ করা সম্ভব। এছাড়া অন্য আবাদ কমিয়ে পরের বার বাঁধাকপি চাষ করবেন বলে জানান তিনি। তাঁর এই সফল্য দেখে অন্যরাও বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিব হুসাইন বলেছেন, দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এই উপজেলায় নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খরিপ-১ মৌসুমে উচ্চমূল্যের সবজি যেমন গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি, গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি, টমেটো, মাচায় তরমুজ, শসা সহ বিভিন্ন সবজির আবাদ সম্প্রসারণের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এই বিষয়ে কৃষক ভাইদের সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত আছে।
অফ সিজনে সবজি আবাদ করলে কৃষক লাভবান হবে এবং এই উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষির দ্বার উন্মোচন হবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়াও পার্বতীপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি কৃষির জন্য বেশ উপযোগী। এ উপজেলায় ধান, ভুট্টা সরিষা, গমসহ সারা বছরই কমবেশি সবজির চাষ হয়ে থাকে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে বাঁধাকপির চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সর্বদা পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।