রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জনদূর্ভোগ লাঘবে কয়েক যুগ আগের মাটির তৈরি কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। হাজারো মানুষের চলাচলের এই রাস্তাটি পাকা করার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এই কাঁচা রাস্তাটি আজও পাকা হয়নি। ফলে বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম দূর্ভোপ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হরিরামপুর গ্রাম থেকে একই ইউনিয়নের বউবাজার থেকে কয়াপাড়া পর্যন্ত ২.৭৫ কিলোমিটার এবং হরিরামপুর থেকে গোমস্তা পাড়া পর্যন্ত ২ কিলোমিটার মোট ৪.৭৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকা না করার ফলে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এলাকার রেকডিও রাস্তাটি কয়েক যুগ আগে নির্মিত হলেও এই রাস্তাটি আজও হয়নি। বর্ষা মৌসুমে কাঁদায় হেঁটে এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষকে কষ্ট করে যাতায়াত করতে হয়।
বর্ষার সময় রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। ফলে কোনো ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেঁটে চলতেও কষ্টের শিকার হয়। মাটির রাস্তাটি পাকা করার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এই গ্রামের কয়েকটি পাড়া মিলে প্রায় ২২ হাজার জনসংখ্যা রয়েছে। এই গ্রামে মসজিদ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আল-হাদী বহুমুখী ফার্ম রয়েছে। ফার্মের স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলাম শাহীদ সরকারের রাজস্ব খাতে বাৎসরিক কয়েক লক্ষ টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে আসছেন বলে জানান।
বেলাইচন্ডী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড হরিরামপুর এলাকার কয়েকটি গ্রামের মানুষদের এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাজারে যেতে হয় প্রতিনিয়ত। রাস্তাটি দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা পানিতে একাকার হয়ে যায়। বৃষ্টি হলে প্রতিনিয়ত জমছে পানি। চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়। রাস্তাটি পাকা হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে,অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা ভ্যান, চালিয়ে সহজে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,স্বাধীনতার পর একের পর এক ইউপির চেয়ারম্যান, এই আসনের এম পি, মন্ত্রী পরিবর্তন হলেও তাদের রাস্তায় উন্নয়নের ছোয়া এখনো লাগেনি। পার্বতীপুর উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দূরে এই বেলাই চন্ডি ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামটি অবস্থিত। স্বাধীনতার পরে বিভিন্ন রাস্তাঘাটের উন্নতি হলেও এই গ্রামটি এখনো অবহেলিত। এ গ্রামের শিক্ষার্থীরা কাঁচা সড়কটি ব্যবহার করে পড়াশোনা করতে প্রায় ২.৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পায়ে হেঁটে পথ অতিক্রম করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজে যাতায়াত করে। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি পাকা করনের দাবি জোর দাবী জানিয়েছেন ।