বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
এম এ আলম বাবলু,পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে পান চাষ লাভ জনক হওয়ায় পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। নিজেদের পানের বরজে ভালো ফলনে বেশি লাভের আশা করছেন চাষিরা। তিন থেকে চার মাসে উৎপাদিত এই পান চাষ নতুন মাত্রা যোগ করেছে এখানকার অর্থনীতিতে। যা এই এলাকার পানের চাহিদা অনেকটাই মেটাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন পান চাষীরা।
পান চাষের একটি সম্ভাবনাময় এলাকা পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের পান বাজার। এখানকার জমি পান চাষের উপযোগী হওয়ায় পান চাষে ঝুঁকে পড়েছেন পান চাষীরা। পান বাজার রাস্তার পাশে তাকালেই চোখে পড়ে ছোট বড় অনেক পানের বরজ। এখানে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি পানের বরজ রয়েছে।
পান চাষিদের অভিযোগ,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তারা কোন প্রকার পরামর্শ বা সহযোগিতা পায়না। যদি সরকারের পক্ষ থেকে এই পান চাষের জন্য কৃষি উপকরণ,কৃষি সহায়তা ঔষধ, সার, কীটনাশক তারা পায় তবে পানের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে তারা আশাবাদী।
পান বাজার এলাকার কৃষক সন্তোষ চন্দ্র রায় জানান, তিনি ও তার ছেলেরা মিলে প্রায় ২ বিঘা জমিতে পানের বরজ করেছেন। এবার তিনি একই জমিতে শ্রম ও খরচ করেছেন ১ লক্ষ টাকা যার বিপরীতে পান বিক্রী করেছেন প্রায় ২ লাখ টাকার।
পান চাষীদের মধ্যে শ্রী নিতাই বাবু, লাল বাবু, অশোক, সঞ্জয়, সুমন ও সুজনসহ বেশ কয়েকজন পানচাষি জানান, তারা এই চাষে লাভবান হচ্ছেন। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পান চাষ করে বেশী মুনাফা অর্জন করছেন। এ কাজের সাথে জড়িত শ্রমিকেরাও লাভবান হচ্ছে।
পান চাষের উপযুক্ত সময় বাংলা বৈশাখ মাস। তাই বৈশাখের শুরুতেই উঁচু জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে পানের চারা রোপন করা হয়। জমি থেকে পানি সহজেই বের হওয়ার জন্য করা হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা । প্রখর রোদের তাপ থেকে চারা বাঁচাতে বাঁশ ও খড়ের সাহায্যে মাচা দেওয়া হয়। ৬ থেকে ৭ ফুট ওপরে শাওন দেওয়া হয়। পান চাষীরা মনে করেন কৃষি অফিসের সহযোগীতা পেলে (অথাৎ সুপরামর্শ ও প্রণোদনা) পান চাষ আরো বাড়ানো সম্ভব।
পান চাষ নিয়ে কথা হয় পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিব হুসাইন এর সাথে তিনি বলেন, উপজেলার ৬ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হচ্ছে। পান চাষে তাদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সুপরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অথাৎ সাধ্যানুযায়ী সব কিছুই করা হচ্ছে।