পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৭১ কোটি টাকার কর মওকুফ

আপডেট: আগস্ট ৭, ২০১৭, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


পায়রা সমুদ্র বন্দর পরিচালনাসহ আনুসঙ্গিক কাজের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫৭১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার স্ট্যাম্প ফি মওকুফ করেছে সরকার।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানী লিমিটেড ও জমি মালিকদের সঙ্গে সই করা ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্টের আওতায় সকল রেজিস্ট্রেশনের ওপর আরোপিত ফি মওকুফ করা হয়েছে।অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মুমেন বাসসকে বলেন,বিদুৎ্যতের মত জরুরী পরিসেবার বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্ট্যাম্প কর মওকুফ করেছে।পায়রা বন্দরের কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব পুরোপুরি চালু করা এই সিদ্ধান্তের অন্যতম কারণ বলেও তিনি জানান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বেসরকারি খাতের পাওয়ার জেনারেশন পলিসির আওতায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট থারমাল পাওয়ার প্লান্টের (কয়লাভিত্তিক) প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানী বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানী এবং জমি মালিকদের সঙ্গে সই করা ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্টের অন্তর্ভূক্ত সকল ডকুমেন্টের রেজিস্ট্রেশনের ওপর আরোপিত স্ট্যাম্প ফি বাবদ ৫৭১ কোটি ৩৯ লাখ ২৬ হাজার মওকুফ করা হলো।
১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা।মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ ঋণ দেবে চিনের এক্সিম ব্যাংক ও চায়না ডেভলপমেন্ট ব্যাংক।
উল্লেখ্য,প্রকল্প এলাকা মধুপাড়া ও নিশানবাড়িয়া মৌজার মরিচবুনিয়া,দাসের হাওলা,মাছুয়াখালি,গরাৎ খাঁ,চর নিশানবাড়িয়া গ্রামে ১৩৫টি বাড়ি ঘর ছিল,যা ইতোমধ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে।১২০০ পরিবারের প্রায় এক হাজার একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। বন্দরের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সংযোজনের ক্ষেত্রে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সরকার আশা করছে।-বাসস