পিঠা-পুলি ও শৈতোৎসবে মেতেছে রাবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪, ১:৩৫ অপরাহ্ণ

গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করছেন এক নৃত্যশিল্পী


রাবি প্রতিবেদক:রাত ৭টা। একের পর এক চলছে লোক ও ক্লাসিক্যাল নৃত্য। নৃত্যের সঙ্গে গানের সুর-তাল-লয়ে চিৎকার করে উঠছেন দর্শকরা। গানের তালে নিজেরাও মেতে উঠছেন নৃত্যে। পাশেই চলছে হরেকরকমের পিঠা বিক্রির ধুম। কেউ বন্ধু-বান্ধব, কেউ পরিবারের সঙ্গে নিচ্ছেন পিঠার স্বাদ। দৃশ্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি চত্বরের পিঠা-পুলি ও শৈতোৎসবের।

ব্যতিক্রমি এই পিঠা-পুলি উৎসব উপভোগ করতে এসেছেন ফার্মেসী বিভাগের দুই শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও কাওছার আহমেদ। কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা জানান, আয়োজনটি তাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সাংস্কৃতিক আয়োজন সবথেকে ভালো লেগেছে। বিভিন্ন রকম পিঠার স্বাদ নিয়েছেন তারা। ভবিষ্যতেও এরকম আয়োজন চান তারা।

কথা হয় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানটি সত্যিই মনোমুগ্ধকর লাগছে। একই সাথে পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান একটা বিশেষ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্যাম্পাস বাউলিয়ানা’ দুই দিনব্যাপী এই পিঠা-পুলি ও শৈত্যোৎসবের আয়োজন করেছে। রিয়েল স্টার প্রোপার্টিজ নিবেদিত এই আয়োজনের প্রতিবাদ্য ‘শীতের আমেজে পিঠার গন্ধে, বাউল মাতে মন-আনন্দে’।

বৃহস্পতিবার আয়োজনটির প্রথমদিন। এটি চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। দুইদিনের আয়োজনেই আছে গান, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি।
আয়োজনে অতিথি হিসেবে এসেছেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতা ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার, নিজেদের লোকায়িত ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে।

নাহলে নিজেদের বড় বলে প্রমাণ করা যাবেনা। বিগত কয়েকবছর ধরে আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের শিক্ষার্থীরা এরকম আয়োজনগুলো অনুভব এবং উপভোগ করছে। এটা একটা বড় বিষয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড না থাকলে জীবন পূর্ণ হয়না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ