রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
‘পিতা হারানোর বেদনা কোনদিন ভুলতে পারবো না। এটুকুই সান্তনা তিনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। আমার পিতাসহ জাতীয় চার নেতা মাত্র ৫৫-৫৬ বছরে ঘাতকের হাতে নিহত হন। ওই অল্প সময়ে তাঁরা দেশের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন। তাঁরা স্বাভাবিক ভাবে আরো ২০ বছর বাঁচলে আরো অনেক কিছুই করে যেতে পারতেন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শহীদুল্লাহ কলা ভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহীর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে রাজশাহীতে প্রায় ৯‘শ কোটি টাকার বাজেট আনা হয়েছে। সে অনুযায়ী অনেক কাজ হয়েছে। রাজশাহী আজ আধুনিক শহরে পরিণত হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলকে এক সময় জামায়াত-শিবিরের ঘাঁটি মনে করা হতো। আমরা তা উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছি।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজকের বাংলাদেশ পেয়েছি। তাঁরা দেশের জন্য নিজেদের জীবন দিতেও পিছপা হননি। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবাই রাতারাতি নেতা হতে চাই। কেউ কর্মী হতে চাই না। দেশের জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই না।’
এসময় তিনি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তোমরা বঙ্গবন্ধুর আসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে দেখ। উপলব্ধি করতে পারবে নেতা কাকে বলে। নেতৃত্ব দেয়ার জন্য পড়ালেখা করা খুবই জরুরি। আমি আশাকরি তোমারাই যোগ্য হয়ে গড়ে উঠে আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।’
রাজশাহী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিনের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল খালেক, অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান, অধ্যাপক মুহাম্মদ কায়েস উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়া রাবি শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লবসহ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।