পুঠিয়ার ইউপি সচিব কর্তৃক কৃষকের বরাদ্দ সার আত্মসাতের অভিযোগ

আপডেট: জুন ৭, ২০২৪, ৮:০৮ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষকের নামে বরাদ্দকৃত সার ইউপি সচিব কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে গিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।

পাট অধিদপ্তরের পুঠিয়া উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা জানান, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে প্রায় ১ মাস পূর্বে কৃষকের জন্য একশো কেজি পাট বীজ ও ইউরিয়া সার ১২ বস্তা, ফসপেট সার ৬ বস্তা এবং পটাস ৬ বস্তা মোট ২৪ বস্তা সার ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তর করি।

এলাকার কৃষকরা জানায়, চলতি বছরে আমাদের ইউনিয়নে সাধারণ কৃষকদের জন্য বরাদ্দকৃত পাটের বীজ ও সার এসেছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমাদের জানা মতে সেই বীজ ও সার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোনো কৃষককে প্রদান করা হয়নি। আমারা চাই আমাদের কৃষকদের নামে বরাদ্দকৃত সার ও বীজ সাধারণ কৃষকদের দেওয়া হোক।

শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) মো. ফারুক জানান, কয়েক দিন আগে আমি গ্রাম আদালতের গোডাউনে সার ও পাটের বীজ রাখতে দেখেছি। এরমধ্যে আমি তিন দিন ছিলাম না। আজকে এসে গ্রাম আদালতের গোডাউনে দেখি শুধু পাটের বীজ আছে কিন্তু সারের বস্তা নাই। এরপর আমি সচিবের রুমের পিছে আরেকটি গোডাউন আছে সেখানে খোঁজ করি। সেখানেও সারের কোনো বস্তা নেই। তারপর আমি চেয়ারম্যানের নিকট জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি বলেছেন, বিষয়টি আমি জানি না সচিব জানে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করছি।
পাট অধিদপ্তরের পুঠিয়া উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন মিত্র জানান, আমরা প্রায় ১ মাস পূর্বে কৃষকের জন্য একশো কেজি পাট বীজ ও ২৪ বস্তা সার ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হস্তান্তর করেছি।

শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সচিব আতিকুর রহমান জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। যা সত্য নয়। পাটের বীজ ও সার গোডাউনে রয়েছে। রোববারে আসলে দেখতে পাবেন।
শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, বীজ ও সার আত্মসাত করার ক্ষমতা কারো নেই। টিসিবির মালামাল বিতরণের জন্য সারের বস্তাগুলো অন্য গোডাউনে রাখা হয়েছে। সেগুলো পাট অধিদপ্তরের লোকজন বিতরণ করবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ