পুঠিয়ায় ‘চুরি’ হওয়া নবজাতক পাবনা থেকে উদ্ধার

আপডেট: আগস্ট ১৬, ২০১৭, ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে ‘চুরি’ হওয়া একটি নবজাতক উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা থেকে ১৪ দিন বয়সি ওই শিশুটি উদ্ধার করে পুুঠিয়া থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এর আগে সোমবার বিকেলে শাহানাজ বেগম নামে এক নারী বাদি হয়ে তার সন্তান চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে থানায় মামলা করেন। ওই নারীর বাড়ি উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের পাঁচআনি পাড়া গ্রামে। তার স্বামীর নাম ওবাইদুল ইসলাম।
শাহনাজ তার মামলার এজাহারে দাবি করেন, গত রোববার সকালে তিনি তার শিশু কন্যাকে নিয়ে একটি ভ্যানে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। দুপুরের দিকে ভ্যানটি হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছালে শাহানাজ তার নবজাতকসহ ভ্যান থেকে পড়ে যান।
এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে আসা এক যুবক ও এক বোরকা পরা নারী বাচ্চাটিকে নিয়ে চিকিৎসা করানোর নামে হাসপাতালের দিকে যান। কিন্তু তারপর হাসপাতালে গিয়ে অনেক খোঁজাখুজি করেও নবজাতকের কোনো হদিস পাননি শাহানাজ। হাসপাতালের বাইরে ওই যুবকের মোটরসাইকেলটিও পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে শাহানাজ বেগম এলাকায় মাইকিং করেন। কিন্তু তারপরেও সন্তানের খোঁজ না পেয়ে তিনি থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত এক নারী ও এক পুরুষকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর শিশুটিকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। এরপর রাতেই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এক নিঃসন্তান দম্পতির ঘর থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা বাচ্চা চুরি করেননি। এ জন্য তাদের আটক করা হয়নি।’
শিশুটি পাবনা গেল কীভাবেÑজানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘বাচ্চাটি নাটোর সদর হাসপাতালে পড়ে ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন বিষয়টি নাটোর সদর থানা পুলিশকে জানিয়েছিল। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই ওই নিঃসন্তান দম্পতিকে বাচ্চাটি দিয়েছিল।’
ওসি জানান, শিশুটি নাটোর সদর হাসপাতালে কীভাবে গিয়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কে তাকে ওই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাও জানা যায়নি। এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। আপাতত আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।