রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের ধলাট কমরপুর মোস্তফার বাড়ি থেকে সিদ্দিক মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত নতুন রাস্তা পাকা করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
চুক্তিভিত্তিক মূল্যে ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৭৭৯ টাকা ব্যয়ে ৯৭৯ থেকে ১৫শো মিটার রাস্তাটির নির্মাণ কাজের দায়িত্বে রয়েছে ইমপ্রুভমেন্ট অফ দোমাদি হাউজ অফ রফিক নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তাদের বিরুদ্ধে রাস্তার নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ও রাবিশ ব্যবহারের অভিযোগ এসেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের ইটের খোয়া ও রাবিশ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করায় বাধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তোয়াক্কা না করে ঠিকাদার নিম্নমানের ইট ও খোয়া দিয়েই কাজ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, মোস্তফার বাড়ির কাছ থেকে সিদ্দিক মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে ইটের খোয়া এক নাম্বার দেয়ার কথা বলা হলেও এতে ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের ইটের রাবিশ।
জানা গেছে, ৫২১ মিটার রাস্তার নির্মাণ কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে চুক্তিভিত্তিতে ৫৩ লাখ ১১ হাজার ৭৭৯ টাকায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো কাওসার আলী গত দুুই/তিন মাস আগে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নিম্নমানের ইট ও খোয়ার রাবিশ ব্যবহার করায় স্থানীয় বাসিন্দারা উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে ফোনে অভিযোগ করেন।
পরে উপজেলা প্রকৌশলী মো. পারভেজ নেওয়াজ ও এলাকাবাসী কাজটি বন্ধ করে দেন। পরে একদিন বন্ধ থাকার পরে আবার ওই ঠিকাদার পুনরায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী আবার বাধা দেন। এলাকাবাসী ও এলজিইডি অফিস-সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী বাধা দিলেও ওই ঠিকাদার কারও তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে গেলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে আবারও কাজ বন্ধ করে দেন এলজিইডি অফিস ও স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক ও মো. রুস্তম আলী বলেন, ‘নিম্নমানের ইট ও খোয়া রাবিশ বিছানোর কাজ হাফ হতেই আমরা বাধা দেই। আগেও একবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল এলাকাবাসী। তার একদিন পরেই আবার কাজ শুরু করেছে। আবারো বন্ধ করে দেয় এলজিইডি অফিস ও স্থানীয় জনগণ।’
অভিযুক্ত ঠিকাদার কাউসার আলীকে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া হলে তিনি তার ছাত্রলীগের পদবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরে বলেন, এখানে খুবই খারাপ রাস্তা অনেক খরচ হচ্ছে পুকুর/গর্ত ভরাট করতে হচ্ছে। এখন ইটের ভাটা বন্ধ কোনো ভালো ইট নেই। এখানে একটু উনিশ বিশ হতেই পারে।
পুঠিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. পারভেজ নেওয়াজ বলেন, ‘আমি ওখানে লোক পাঠিয়েছি। ইট খুব একটা খারাপ না তবে ইটের মধ্যে অনেক রাবিশ আছে যা থাকার কথা না। আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়ে ঠিকাদারকে ডেকেছি। আমরা ব্যবস্থা নেব।