পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প! যুদ্ধ থামাবেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৫, ২:০৭ অপরাহ্ণ

ফাইল ছবি

সোনার দেশ ডেস্ক :


আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকদিন। ফের একবার আমেরিকার মসনদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের বসার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন তিনি! এর আগে বর্ষীয়ান নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার। এবার কী তাহলে ট্রাম্পের হস্তক্ষেপেই থামবে দুদেশের রক্তক্ষয়ী সংঘাত?

আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। জোর কদমে চলছে সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। তার আগেই জানা গেল এই সাক্ষাতের কথা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, শুক্রবার ফ্লোরিডার পাম বিচে মার-এ-লাগো রিসোর্টে রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প।

সেখানেই তিনি পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা চাই এই যুদ্ধের বন্ধ হোক। আমরা দুদেশের সংঘাতে ইতি টানবই।” তবে কবে, কোথায় এই বৈঠক হবে তা এখনও জানা যায়নি। এই বৈঠকের বিষয়ে এখনও মস্কোও কিছু জানায়নি।

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই তিন বছর পূর্ণ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। হামলা পালটা হামলা, মৃত্যুমিছিল সবকিছুই অব্যাহত। এখনও মেলেনি সংঘাত থামানোর রফাসূত্র। এই লড়াইয়ের শুরু থেকে কিয়েভের পাশে রয়েছে হোয়াইট হাউস। এর মাঝে নির্বাচনের আগে গতবছর ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, “২৪ ঘণ্টায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেব।” তবে এখানেই থামেননি তিনি।

‘বন্ধু’ ইউক্রেনকেই সমঝোতার পথে হাঁটার পরামর্শ দেন তিনি বলেন, ক্রাইমিয়া এবং দোনবাসের সীমান্ত এলাকাগুলো দখল করতে চায় রাশিয়া। ইউক্রেনকে চাপ দেওয়া হবে ওই এলাকাগুলো রাশিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। ওই এলাকার বাসিন্দারা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে পারলে খুশিই হবেন। বিতর্কিত এলাকাগুলো রাশিয়ার হাতে তুলে দিলেই যুদ্ধ থেমে যাবে বলে মনে করেন ট্রাম্প। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ইউক্রেনকে পরামর্শ দেওয়া নিয়েই কি পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি?

বলে রাখা ভালো, আগামী ১০ বছরের জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পশ্চিমের ৭টি দেশ। যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। মার্কিন অস্ত্রবলেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শুরু করেছে কিয়েভ।

মস্কোর প্রতিটা আক্রমণের কড়া জবাব দিচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। কিন্তু এবার ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে ওয়াশিংটনের। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতো ট্রাম্প কতটা খোলা হাতে ইউক্রেনকে সাহায্য করবেন সেনিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।

এদিকে, হাতিয়ারের জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে দরবার করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ হামলা প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যে দুর্বল হয়ে পড়েছে তা মেনে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র শক্তিশালী করতে এবার ইটালির উপর ভরসা রাখছে কিয়েভ।

বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেন জমানার অবসানের কথা মাথায় রেখে ইটালি-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের সঙ্গে জোট আরও মজবুত করতে চান জেলেনস্কি।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদেবন অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ