পুলিশ কমিশনারের অঙ্গীকার ।। নগরীর ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত

আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০১৬, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ

বর্তমান পুলিশ কমিশনার আরএমপিতে যোগদানের পর নগরবাসীর নজর কেড়েছেন। বিশেষ করে তাঁর মাদক বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স এবং সেই অনুযায়ী অভিযান পরিচালনার সাফল্য নগরবাসীকে আশান্বিত করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও মাদকের বিরুদ্ধে নগর পুলিশের কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন শনিবার দৈনিক সোনার দেশে প্রকাশিত হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে- কমিউনিটি পুলিশিং পুলিশ ও জনগণের মাধ্যমে সেতুবন্ধনে কাজ করছে। তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে বিট পুলিশিং। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম আরএমপিতে যোগদানের পর নগরীতে এ কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং জনগণের মধ্যে সাড়া ফেলেছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে জঙ্গি ও মাদক নির্মূলে জনগণের উপস্থিতিতে বিভিন্ন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নগরীর চারটি থানাকে ৩৬টি এলাকায় বিভক্ত করে সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে কাজ করছে বিট পুলিশিং।
কমিউনিটি পুলিশিঙের ধারণাটি নতুন কিছু নয়- তবুও বলা যায় বর্তমান কমিশানেরর নেতৃত্বে এটি একটি নতুন মাত্রা লাভ করেছে। ইদানিং কমিউনিটি পুলিশিঙের সাথে প্রকৃতঅর্থেই এলাকার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিরা সম্পৃক্ত হচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক বটে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’- এই কথা নীতিগত অবস্থান থেকে বলাই যায়- কিন্তু বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। পুলিশ ছাইয়ে দড়ি পাকাতে পারে এমন ধারণাই মানুষের মধ্যে এখনও বদ্ধমূল। সাধারণ মানুষ তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই এই ধারণা লাভ করেছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ করে অর্জিত একটি স্বাধীন দেশে এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। আমাদের জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বে এ এক বড় দুর্বলতা কাজ করে এসেছে। এখন সময় পাল্টাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীতে এখন মেধাবী, রুচিশীল ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধশীল তরুণরা যোগ দিচ্ছে- তাদের ওই কমিটমেন্টের জায়গাটিই বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। হয়ত বিষয়টি এক দিনে, মাসে বা বছরে সম্ভব নয়- কিন্তু সূচনাতো হয়েছে। এটাই এখন ধীরে ধীরে গণমানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হবে।
পুলিশ কমিশনার ইতবাচক পরিবর্তন আনতে রাজশাহী মহানগরীর জন্য কিছু করতে চান- স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এমনই ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। নগরবাসীর জন্য অবশ্যই এটি একাট সুখবর। মাদকমুক্ত নগরী যে পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় একটি ক্ষেত্র এবং সেটিতেই তাঁর জিরো টলারেন্স, রুবই উৎসাহব্যঞ্জক। এ কাজে নগরবাসী সহযোগিতা না করে পারে না। মাদক যে ঘরে ঘরের সমস্যা। পুলিশ সম্পর্কে সাধারণের ভীতিভাবও কাটছে। নগরবাসীর সাথে আমরাও খুবই উচ্ছ্বসিত এবং প্রত্যাশিত যে পুলিশ কমিশনার তার এই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবেন- যা অন্য শহরের জন্য মডেল হবে। আমরা এটাও জানি যে, মাদকের বিরুদ্ধের লড়াইটা শুধু ব্যক্তি পুলিশ কমিশনারের নয়- পুলিশ বাহিনির মধ্যেই এই সদিচ্ছা- শপথ থাকতে হবে। নগরবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা তো থাকবেই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ