সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ হলেন বিরাট কোহলি। ০, ১৩, ১২ রানের পর এবার করেছেন ১৫। বেঙ্গালুরু টেস্টের দ্বিতীয় দিন চা বিরতির আগে কোহলি যখন আউট হয়ে ফেরেন ভারতের রান তখন ৩ উইকেটে ১১২। স্কোরবোর্ডে আর ৮ রান উঠতেই নেই রবীন্দ্র জাদেজাও। স্বাগতিকেরা তখন বেশ চাপে। তবে সেই চাপ থেকে দলকে দারুণভাবেই বের করে নিয়ে এলেন চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে। ৯৩ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়ে চাপটা তারা উল্টো ঠেলে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দিকেই।
ভারত কী তাহলে চালকের আসনে? চালকের আসনে ঠিক বলা যাবে না। তবে চাপকে জয় করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। প্রথম দিন থেকে ভারতকে চাপে রেখেছ অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিন শেষে এখন নিজেরাই উল্টো চাপে পড়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১২। প্রথম ইনিংসের ৮৭ রানের ঘাটতি তো পুষিয়েছেই, এখন অস্ট্রেলিয়ার থেকে ১২৬ রান এগিয়ে কোহলির দল। এটা সম্ভব হয়েছে পূজারা-কোহলির পঞ্চম উইকেট জুটির কল্যাণে। ৯৩ রান করে অবিচ্ছিন্ন আছেন তাঁরা। বল নিচু হয়ে যাচ্ছে, স্পিনাররা টার্নও পাচ্ছেন খুব। এই উইকেটে রান করা খুব একটা সহজ নয়। পূজারা আর রাহানে ব্যাট করেছেন ধীরেসুস্থে, দেখেশুনে। ৭৯ রান করতে ১৭৩ বল খেলেছেন, মেরেছেন মাত্র ৬টি বাউন্ডারি। রাহানের ১০৫ বলে ৪০ রানের ইনিংসটিতে চার তিনটি। শেষ পর্যন্ত এটিই হয়ে যেতে পারে ম্যাচের ভাগ্য-নির্ধারক।
পুনে টেস্টে দুই ইনিংসে জোড়া ব্যর্থতার পর বেঙ্গালুরুতেও নিজেকে ফিরে পেলেন না কোহলি। বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম ইনিংসে নাথান লায়নের বল বুঝতে ভুল করে এলবিডব্লু হয়েছিলেন। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসেও এলবিডব্লুর ফাঁদে শেষ হয়েছে তাঁর ইনিংস। এবার অবশ্য নিজেকে কিছুটা দুর্ভাগাই ভাবতেই পারেন। জশ হ্যাজলউডের বলটি অফ ও মিডল স্টাম্পের ওপর পড়ে যখন কোহলির প্যাডে আঘাত করে, মনে হচ্ছিল আগেই তা ব্যাট স্পর্শ করেছে। কোহলি নিজেও বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। রিভিউও নিয়েছিলেন। কিন্তু টেলিভিশন রিপ্লে দেখে থার্ড আম্পায়ার পরিষ্কার বুঝতে পারেন নি, বলটা আগে ব্যাটে লেগেছে, নাকি পরে। বল একই সঙ্গে ব্যাট ও প্যাডে লাগার ব্যাপারটিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। থার্ড আম্পায়ার মাঠের আম্পায়ার নাইজল লংকে বললেন, সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো ‘চূড়ান্ত’ কিছু তিনি রিপ্লে দেখে খুঁজে পান নি। এ জন্য মাঠের আম্পায়ার নাইজেল লংয়ের সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।
কোহলির মতো এই ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার অভিনব মুকুন্দ। ২০১১ সালের পর প্রথম টেস্ট খেলতে নামা মুকুন্দ প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন কোনো রান করার আগেই। এবার করেছেন ১৬। তবে ওপেনার লোকেশ রাহুলই দেখিয়েছেন লড়াইয়ের পথ। স্মিথের অলৌকিক এক ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ৮৫ বল করেছেন ৫১ রান। ৮ উইকেট নিয়ে ভারতের প্রথম ইনিংস ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিলেন নাথান লায়ন। এবার ভারতের টপ অর্ডার এলোমেলো করে দিয়েছেন হ্যাজলউড। ৫৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সূত্র : স্টার স্পোর্টস,প্রথম আলো অনলাইন।