পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে মারপিট ভাংচুর ও লুটপাটের মামলা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ৯:০৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজাকে মারপিট, ভাংচুর ও মালামাল লুটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ৬ সেপ্টেম্বর আরএমপি কাশিয়াডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগির স্ত্রী লাইলা পারভীন বাদী হয়ে নামীয় চারজনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মারপিট এবং ক্ষতি পাঁচ লাখ ও সাড়ে নয় লাখ টাকার মালামাল লুটসহ সাড়ে ১৪ লাখ টাকার এ মামলা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট কাশিয়াডাঙ্গা থানার রায়পাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলীম রেজা ও তার স্ত্রী লাইলা পারভীন রাতের খাবার শেষে টিভি দেখছিলেন। এমন সময় রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও রাজপাড়া থানা এলাকার লক্ষীপুরের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে আহাদুজ্জামান নাজিম ও ওয়াহিদুজ্জামান, রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও নগরীর সিএনবি মোড়ের হোসেন আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলম এবং কাশিয়াডাঙ্গা থানার মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে শাহীন আক্তার-যাদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ঝামেলা আছে।

তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাড়ির গেটে আঘাত করতে থাকে। পরিস্থিতি খারাপ বুঝে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সেলীম রেজা অন্য দরজা দিয়ে পাশের আব্দুল মতিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এসময় তারা জোরপূর্বক দরজা ভেঙ্গে ওয়াহিদুজ্জামান বাদীকে গলায় ছুরি দেখিয়ে জিম্মি করে। এরপর ওয়াহিদুজ্জামান ও সিরাজুল ইসলাম ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। এ সময় দু’টি আলমিরা ভেঙ্গে তারা অধ্যক্ষের নিজস্ব ফাইল, কলেজের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলসহ ছয় ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ দেড় লাখ টাকা, একটি সিম ও একটি সরকারি ল্যাপটপ নিয়ে নেয়।

তারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে অধ্যক্ষকে খুঁজতে থাকে। এক সময় তারা মতিনের বাড়িতে অধ্যক্ষ সেলীম রেজাকে খুঁজে পায়। এ সময় তারা লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক দিয়ে মারতে থাকে। অধ্যক্ষ নিস্তেজ হয়ে গেলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা বলে, তাদের সাসপেন্ড ও বেতন বন্ধ করায় এমন করেছি। ভবিষ্যতে আবারো আসতে হলে মেরে ফেলা হবে।
এরপর স্থানীয় লোকজন অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে রাজশাহী সিডিএম হাসপাতালে আইসিইউতে এবং পরে ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতালে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করানো হয়।

চিকিৎসায় কিছুটা উন্নতি হলে গত ৬ সেপ্টেম্বর আরএমপি কাশিয়াডাঙ্গা থানায় ভুক্তভোগির স্ত্রী লাইলা পারভীন বাদী হয়ে রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আহাদুজ্জামান নাজিম ও ওয়াহিদুজ্জামান, রাজাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সিরাজুল ইসলম এবং কাশিয়াডাঙ্গা থানার মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে শাহীন আক্তারকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।