শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোানার দেশ ডেস্ক :
সাপ হল পৃথিবীর এমন একটি প্রাণী যাকে সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে মোট ৩ হাজার প্রজাতির সাপ রয়েছে। পৃথিবীর যেকোনও ধরণের পরিবেশে সাপ দেখতে পাওয়া যায়। সেটা প্রবল বৃষ্টিঅরণ্য থেকে শুরু করে ধূসর মরুভূমি সর্বত্রই সাপের দেখা মেলে। তাদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তাদের এই শক্তি হাতে তুলে দিয়েছে।
তবে পৃথিবীর এমন কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে সাপের দেখা মেলে না। সেখানকার বাসিন্দারা তাই সাপ নিয়ে ভয় পান না। এই জায়গা একটি নয়, বেশ কয়েকটি রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক পরিবেশ সাপকে দীর্ঘদিন ধরে বেঁচে থাকার রসদ দেয় না। ফলে সেখান থেকে তারা নিজের পাততাড়ি গুটিয়ে নিয়েছে।
আন্টার্কটিকা, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং প্রশান্ত মহাসারের বিভিন্ন দ্বীপে সাপের দেখা মেলে না। সেখানকার বাসিন্দারাও সাপের বাসা করতে করতে দেন না।
আন্টার্কটিকা প্রথম জায়গা যেখানে সাপের দেখা নেই। এখানকার তীব্র শীতল পরিবেশ সাপকে সেখানে যেতে বাধা দেয়। তারা সেখানকার পরিবেশ থেকে নিজেদের দূরে রাখে। শীতল রক্তের প্রাণী হলেও সাপ সেখান থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। বরফ এবং শীতের মধ্যে সাপ বেঁচে থাকতে পারে না। সেখানে শুধু সিল, পেঙ্গুইনরাই থাকতে পারে।
নিউজিল্যান্ডেও সাপের দেখা মেলে না। এর ভৌগলিক কারণ একটি বিশেষ দিক। সেজন্য সাপেরা এখানে গিয়ে বাস করতে পারে না। এখানে প্রচুর সমুদ্র রয়েছে। আর সমুদ্র যেখানে বেশি থাকে সেখানে সাপ থাকতে পারে না। তবে এখানকার জলে কয়েকটি জলের সাপ দেখা যায়। তবে সেগুলি কখনই জমিতে উঠে আসে না। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের আইন অনুসারে সেখানে সাপ পোষা বারণ।
আয়ারল্যান্ডকেও সাপেরা বর্জন করেছে। তার প্রধান কারণ হল এখানে ফসিল বেশি রয়েছে। ফসিলের মধ্যে সাপেরা থাকতে পছন্দ করে না। এখানকার ভৌগলিক পরিবেশও সাপকে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে দেয় না। সাপের বেঁচে থাকার জন্য শীতের সঙ্গে গরমের পরিবেশ থাকতেই হয়। নাহলে তারা হারিয়ে যাবে। তবে এখানকার কয়েকটি চিড়িয়াখানাতে বর্তমানে সাপ এনে রাখা হয়েছে।
গ্রিণল্যান্ডের পরিবেশ থেকেও সাপেরা নিজেদেরকে দূরে করে রাখে। এখানকার অসহ্যকর পরিবেশ সাপকে থাকতে দেয় না। এখানে যে পরিমানে গরম থাকে সেখানে সাপেরা এখানে ভুল করে এলেও বেশিদিন থাকার আগেই মারা যায়।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন