রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
গত বুধবার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেন যে প্লুটো, সূর্য থেকে ৩ বিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থিত ঠা-া গ্রহটিতে লুকানো মহাসাগর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু সৌরজগতে প্লুটো একমাত্র পানিতে সাঁতরানোর বিশ্ব নয়, বিজ্ঞানীরা এর আগেও সৌরজগতে এ ধরনের পানির বিশ্বের খোঁজ পেয়েছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর, বিজ্ঞানীরা জানান, শনির ছোট চাঁদ ডিয়োনির ভূগর্ভেও মহাসাগর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতির একটি চাঁদ, ইউরোপা, যা মোটামুটিভাবে আমাদের নিজস্ব চাঁদের আয়তনের, সেখানে ওপরের স্তরে রয়েছে বরফ, আর সম্ভবত বরফের নিচে রয়েছে মহাসাগর। এই সমুদ্রে যে পরিমান পানি আছে তা পৃথিবীর মোট পানির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ (৩২০ মিলিয়ন কিউবিক মাইল)।
সুতরাং পৃথিবীর তুলনায় সৌরজগতের অন্যান্য বিশ্বে কি পরিমাণ পানি রয়েছে, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা নিউজ পোর্টাল বিজনেস ইনসাইডার যোগাযোগ করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির গ্রহসম্বন্ধী বিজ্ঞানী স্টিভ ভ্যান্সের সঙ্গে। যিনি ক্যালকুলেড করে জানিয়েছেন, কি পরিমান পানি সেখানে থাকতে পারে।
নিচে উল্লেখিত টু-স্কেল গ্রাফিক্স ভ্যান্স তৈরি করেছেন গ্রহসম্বন্ধীয় তথ্য এবং পৃথিবীর পানির পরিমাণ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল নিরীক্ষার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। যেখানে দেখানো হয়েছে পানির যুক্তিসঙ্গত ভলিউম, তরল এবং বরফে বিভক্ত করে, ৮টি ভেরিফায়েড ও সম্ভাব্য মহাসাগর নিয়ে।
উল্লেখ্য যে, পৃথিবীতে বরফের সামান্য ভলিউম রয়েছে, সৌরজগতের এসব পানির বিশ্বের তুলনায়। তাই গ্রাফিক্সে পৃথিবীর বরফের পরিমাণ রাখা হয়নি।
এছাড়া শনির আরেকটি উপগ্রহ মাইমাস এবং সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহাণু সেরাসে মহাসাগর থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে তার পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা কিংবা আদৌ রয়েছে কিনা। রাইজিংবিডি