পোরশায় আম চাষীদের প্রাণের দাবি হিমাগার

আপডেট: জুলাই ৮, ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ণ


ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ) :


নওগাঁর পোরশায় আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের প্রয়োজন। এটি এখন আম চাষিদের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। পোরশা উপজেলায় কোনো ফসলের জন্য এখনো কোনো প্রকার হিমাগার স্থাপন হয়নি। পূর্বেও এখানে হিমাগার ছিল না। হিমাগারের অভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায় না এ অঞ্চলের সুস্বাদু ফল আম।

মৌসুমে গাছের আম একসাথে পেকে যাওয়ায় দাম পান না চাষীরা। বাজারে আমের দর কম থাকলে পাকা আম নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় আম চাষিদের। তখন বাধ্য হয়ে উৎপাদিত আমগুলো কম দামে বিক্রি করে লোকসানের মুখে পড়তে হয় আম চাষিদের। এ এলাকায় আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় হতাশায় ভুগছেন চাষীরা।

নওগাঁ জেলার পোরশা ও সাপাহার উপজেলাকে এখন আমের দ্বিতীয় রাজধানী বলা হয়। এখানকার আম দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে।

এ দুই উপজেলায় এখন আমের বাম্পার ফলন হচ্ছে। এ এলাকার আম অনেক সুমিষ্ট তবুও মাঝে মধ্যেই আম চাষীরা আমের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগার থাকলে চাষীরা বাজারে আমের দর কম থাকলে হিমাগারে রাখতে পারবেন। তাছাড়া চাষীরা হিমাগারে আম রেখে প্রয়োজনমত বিক্রি করতে পারবেন।

আম চাষীরা বলছেন, বাজারে আমের পর্যাপ্ত চাহিদার পূর্বেই এখানকার গাছের আম পাকতে শুরু করে। তাই গাছে আম পাকা দেখা দিলে আর ওই আম গাছে বেশিদিন ধরে রাখা যায় না। পাকা আম গাছ থেকে অতি সহজেই ঝরে পড়ে। গাছের পাকা আম বিভিন্ন পাখি-পোকায় খেয়ে ফেলে। তাছাড়া পাকা আম নেমেও বেশিদিন ধরে রাখা যায় না।

তাই বাজারে আমের চাহিদা থাক আর না থাক, দাম ভাল থাক আর না থাক, খুব দ্রুতই গাছের পাকা আম নামিয়ে বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হন আম চাষীরা। আর হিমাগার থাকলে ওই আমগুলো সংরক্ষণ করে রেখে পরে বাজারে আমের চাহিদামত বিক্রি করা সম্ভব হয়।

পোরশা উপজেলার আমচাষী হাবিবুর রহমান জানান, গাছের আম একবার পাকা দেখা দিলে আর ওই গাছের আম ধরে রাখা সম্ভব নয়। এমনিভাবে যে জাতের আম একবার পাকা দেখা দেয় ওই জাতের সমস্ত বাগানের আম প্রায় একসাথেই পেকে যায়। আর তখনই বাজারে আমের আমদানি বেশি হয়। আর আমদানি বেশি হলে বাজারে আমের দর কমে যায়। হিমাগার থাকলে পাকা আম সংরক্ষণ করে বাজারের চাহিদামত বিক্রি করা যায়। এতে চাষীরা লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, এ বছর শুধুমাত্র পোরশা উপজেলায় আম চাষ হচ্ছে ১০ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে। এ উপজেলায় ব্যাপক আম চাষ হচ্ছে। প্রতি বছর এখানে আমের চাষ বেড়েই চলেছে। গাছের আম দ্রুত পেকে যাওয়ায় বেশিদিন ধরে রাখতে পারছেন না এ

খানকার আম চাষীরা। যে কারণে আশানুরূপ দাম পায় না আম চাষীরা। তাই এ উপজেলায় হিমাগার স্থাপন করা হলে, গাছে না হোক, হিমাগারে আম সংরক্ষণ করে সময়মত ভাল দামে চাষীরা আম বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ