পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ, বিতর্কে বসার আহ্বান

আপডেট: ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ণ

পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

রাবি প্রতিবেদক :


ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসনের স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না আসার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত আটটায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়।

মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জোহা চত্বরে সমবেত হয়। এসময় আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি সংহতি জানান আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল ইসলাম। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পোষ্য কোটা বিষয়ে আগামী সোমবার মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের বিতর্কে বসার আহবান করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ,’কোটা না মেধা?, মেধা মেধা’ ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করিনা মরনে’, ‘আপোষ না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব,’ ‘তুমি কে? আমি কে, মেধাবী মেধাবী’, ‘ছাত্রসমাজের অ্যাকশান, ডাইরেক্ট একশান’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

কর্মসূচিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবি শাখার সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারের কথা বলি নাই, আমরা সকল ধরনের কোটার যৌক্তিক সমাধানের কথা বলেছি।

জুলাই বিপ্লব হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো জুলাই বিপ্লবের ম্যান্ডেট ধারণ করেনি। বিগত বছরগুলোর মতো স্বেচ্ছাচারিতা আর চলতে দেওয়া হবে না। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হবে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই শেষ হবে।

বৈষম্য বিরোধী বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেশকাত মিশু বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটি মিমাংসিত ইস্যু। নতুন করে সেই পতিত কোটাকে যারা আবার জীবন দিতে চাচ্ছে, তাদেরকে আমরা লাল কার্ড দেখিয়ে দিচ্ছি। হাসিনা যেভাবে পালাতে বাধ্য হয়েছে, পোষ্য কোটাধারীদেরকেও আমরা বাংলার জমিন থেকে উৎখাত করে ছাড়বো।

পোষ্য কোটা সুবিধা বঞ্চিতদের দেওয়ার মতো কিছু না, এটা সরাসরি তেলা মাথায় তেল দেওয়ার একটা আয়োজন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ঠিক করার যে আয়োজন হাতে নিয়েছি, সেখানে পোষ্য কোটা নামের কোনো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে না। এখানে আপনাকে শিক্ষক হতে হলে মেধার পরিচয় দিয়ে আসতে হবে।

আইন বিভাগের অধ্যাপক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখছি যারা পাশ করেনা, ৪০ পাওয়ার যোগ্যতা রাখেনা, তাদেরও ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের টিচার হিসাবে নিয়োগ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ডটা ধ্বংস করা হয়েছে। এই অযোগ্য ছাত্রদের ভর্তি বন্ধ করার জন্য যা কিছু করা লাগে, তা করার জন্য আমি তোমাদের সাথে আছি।

উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন রাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনকে সভাপতি করে ২০ সদস্যের কোটা পর্যালোচনা কমিটি গঠিত হয়। তবে এ কমিটি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও কার্যকরী সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হলো।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ