প্রতারণা

আপডেট: ডিসেম্বর ৩০, ২০১৬, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ

 ড. মর্জিা গোলাম সারোয়ার পপিএিম


(র্পূব প্রকাশতিরে পর)
বফিল মনোরথে হাসপাতালে ফরিে এলে স্ত্রী খোকার কথা জানতে চায়। আমি তাকে মথ্যিে বলে জানাই, খোকা দু’একদনিরে মধ্যে এসে তোমাকে চকিৎিসার জন্য ভারতে নয়িে যাব।ে শুনে স্ত্রী খুবই খুশি হয়। বল,ে খোকাকে তোমরা চনে না। দখেবে ঠকিই সে এসে আমাকে চকিৎিসার জন্য ভারতে নয়িে যাব।ে স্ত্রীর কথায় আমি চোখরে পানি ধরে রাখতে পারনি।ি কগিো কাঁদছো? আমি মথ্যিার আশ্রয় নয়িে বল,ি ঠকিই বলছেো আমাদরে খোকার মতো এতো ভাল ছলেে আর হয় না। মায়রে অসুস্থতার কথা শুনে তার কি আহাজার।ি পারলে এখনই রওয়ানা হয়। আমি বল,ি বাবা তুই তোর সুবধিা মতো আয়। এ কথা শুনে স্ত্রী বল,ে জানো খোকার বাবা, আমার সন্তানকে তো আমি চনি।ি মায়রে জন্য তার কত চন্তিা। এ ধরনরে সন্তান পটেে ধরাও র্গবরে বষিয়। স্ত্রীর কথা শুনে আমি নরিবে শুধু র্দীঘশ্বাস ছাড়ি আর ভাবি আমার স্ত্রী কতবড় মথ্যিা আশ্বাসরে ওপর দাঁড়য়িে আছ।ে ছলেে মায়রে অসুস্থতার কথা শুনে আসা তো দূররে কথা, একটুও দুঃখ প্রকাশ করনে।ি বরং টাকা পাঠানোর কথা শুনে বরিক্ত হয়ে টলেফিোনরে লাইন কটেে দয়িে মোবাইল বন্ধ করে দয়ে। হায়রে সন্তান, মায়রে চয়েে আমরেকিা যাওয়াই তার কাছে বড় হলো। কি চন্তিা করছো? আচমকা স্ত্রীর কথায় জামলি সাহবে সম্বতি ফরিে বল,ে কই কছিু না।
৭ দনি পরও যখন খোকা এলো না তখন স্ত্রী বারবার জজ্ঞিসে করায় জামলি সাহবে কান্নাজড়তি কন্ঠে স্ত্রীকে জানান, খোকা তার স্ত্রী এবং শ্বশুর শাশুড়ি নয়িে আজ কয়কেদনি হলো একমাসরে জন্য আমরেকিা বড়োতে গেেছ। শুনে স্ত্রী আফসোস করে চোখরে পানি ফলেে বল,ে ভারতে যাওয়ার জন্য টাকা নাই বা দলিো কন্তিু আমাকে একবাররে জন্য দখেতে আসার সময় কি খোকার হলো না? তাকে কোলে পঠিে করে মানুষ করছে,ি কখনো তার অযতœ হতে দইে ন।ি তার সব চাহদিা মটিয়িছে।ি অথচ সইে ছলেে অসুস্থতার কথা শুনে তাকে দখেতে হাসপাতালে এলো না। ছলেরে এ ধরনরে আচরণে তনিি খুবই কষ্ট পয়েে কোন কথা না বলে চোখ বন্ধ করে একবোরইে নরিব হয়ে যান। এ সময় তার চোখ থকেে কয়কে ফোটা পানি গড়য়িে পড়।ে জামলি সাহবে ভাবনে স্ত্রী হয়তো ঘুমুচ্ছ।ে তাই তাকে আর ডসির্টাব করনে ন।ি
কছিুক্ষণ পর ডাক্তার এসে জামনি সাহবেরে স্ত্রীকে ডকেে সাড়া না পাওয়ায় হাত ধরতইে চমকে ওঠনে। দখেনে তার শরীর বরফরে মতো ঠা-া। পরীক্ষা করে দখেনে তনিি মারা গছেনে। এ কথা জনেে জামলি সাহবে ডুকরে কঁেদে ওঠনে। তার চারদিকি অন্ধকার হয়ে যায়। একমাত্র সঙ্গী চকিৎিসার অভাবে তাকে ছড়েে চরিজীবনরে মতো চলে গছে।ে যাওয়ার আগে ছলেে না আসার ব্যথা তার চোখে মুখে লগেে থাকতে দখো যায়। বদিশেে ছলেরে ঠকিানা না থাকায় তাকে জানানো হয়ন।ি আর জানালওে সে তো আসতো না। একনাগাড়ে কথাগুলো বলে জামলি সাহবে চোখরে পানি মুছে বলনে, স্যার আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে অযাচতিভাবে অনকে ব্যক্তগিত কথা বলে ফলেলাম। দয়া করে কছিু মনে করবনে না। আজ একজন দায়ত্বিশীল ব্যক্তরি কাছে প্রাণ খুলে কছিু বলতে পরেে নজিকেে অনকেটাই হালকা মনে করছ।ি সাথে সাথে আপনার মাধ্যমে বদিগ্ধ হৃদয়ে জানাচ্ছি য,ে পৃথবিীতে তার ছলেরে মতো সন্তান যনে আর কারো ঘরে না জন্মায়। যে কনিা ছা পোষা গরীব করোনি বলে বাবাকে তার বাসায় নতিে ঘৃণাবোধ করছে।ে অসুস্থ মায়রে চকিৎিসা তো দুররে কথা, তাকে দখেতওে আসনেি এবং গরীব বাবার মাথা গোজার সামান্য বাড়ীটুকুও ছলচাতুরি ও প্রতারণার মাধ্যমে বক্রিয়র্পূবক টাকা আত্মসাৎ করে তাকে পথে বসয়িছে।ে
অসহায় জামলি সাহবেরে হৃদয়র্স্পশী দুঃখরে কথা শুনে তার প্রতি কমেন জানি একটা মায়া জন্মে যায়। তাকে সমস্যা সমাধানে আইনগত সহায়তা এবং বৃদ্ধাশ্রমরে তথ্য জানয়িে সখোনে তার শগিগরিই থাকার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানাই। এ কথা জানার পর জামলি সাহবে আমাকে বারবার দোওয়া করতে করতে বাসার উদ্দশ্যেে রওয়ানা হন। আমি তার যাওয়ার দকিে একদৃষ্টে চয়েে ভাবতে থাক,ি আহা রে এই বৃদ্ধ বয়সে ছলেরে সংসারে কোথায় আরাম আয়শে করে জীবনরে বাকি দনিগুলো কাটাবনে। তা না, তনিি এখন নঃিস্ব হয়ে শষে জীবনটা কোথায় কভিাবে কাটাবনে তা নয়িইে ভাবছনে। হায়রে নয়িত।ি
অফসিে বসে খুন মামলার কসে ডায়রি লখোর সময় হঠাৎ থানার সকেন্ডে অফসিার হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে জানান, স্যার শুনছেনে। জামলি সাহবে মারা গছেনে। কোন জামলি সাহবে জজ্ঞিাসা করায় তনিি বলনে,  কনে স্যার! কছ্ক্ষিুণ আগে যে বয়স্ক ভদ্রলোক আপনার সাথে দখো করে গলেনে। শুনে আমি বস্মিয়ে চৎিকার করে বল,ি কোথায়, কীভাব?ে উত্তরে সকেন্ডে অফসিার বলনে, আপনার এখান থকেে বরে হয়ে বাসায় গয়িে দখেনে তার বছিানা এবং জনিসিপত্র বাড়রি গটেরে বাইরে যত্রতত্র অগোছালোভাবে পড়ে আছ।ে এ অবস্থা দখেে জামলি সাহবে পাশরে বাড়রি লোকজনদরেকে জজ্ঞিাসা করে জানতে পারনে। বাড়রি নতুন মালকি সঙ্গীয় লোকজনসহ তার জনিসিপত্র বাইরে ফলেে বাড়তিে তালা লাগয়িে চলে গছে।ে জামলি সাহবে ভাবনে, এমন তো কথা ছলি না। তাদরে কাছ থকেে তনিি ২ দনি সময় নয়িছেলিনে। কন্তিু একদনি না যতেইে তার অর্বতমানে এই অবস্থা। তনিি অনকেক্ষণ নঃিশ্চুপ থকেে চারদিকিে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকয়িে তার ফলেে দওেয়া বছিানার পাশে চোখ বন্ধ করে মাথা হলোন দয়িে বসে পড়নে। অনকেক্ষণ হলো না ওঠায় পাড়ার লোকজন এসে তাকে ডাকনে। কোন সাড়া শব্দ না পয়েে তার গায়ে হাত দতিইে তনিি মাটতিে গড়য়িে পড়নে। ডাক্তার এসে পরীক্ষা করে জানান, তনিি আর নইে। অনকেক্ষণ আগইে শষে নঃিশ্বাস ত্যাগ করছেনে।
কসে ডায়রি লখো বাদ দয়িে আমি নর্বিাক হয়ে ভাব,ি জীবনরে শষে প্রান্তে এসে অশীতপির অসহায় একজন বৃদ্ধ নজিরে একমাত্র ছলেে র্কতৃক প্রতারণার মাধ্যমে পত্রৈকি ভটিাটুকু হারয়িে বাকি জীবনটা বৃদ্ধাশ্রমে থাকার সকেি করুণ আকুতি এখনও চোখরে সামনে ভাসছ।ে আমার দু’চোখ থকেে দু’ফোটা পানি নজিরে অজান্তইে গড়য়িে পড়।ে বুক থকেে বরেয়িে আসে একটি র্দীঘশ্বাস। জামলি সাহবেকে ছলেরে প্রতারণা, বাড়ি হারানোর কষ্ট এবং নর্মিম অবহলোর বোঝা আর কখনো সইতে হবে না। থানার গটেে অবস্থতি চায়রে দোকান থকেে তখন একটি গানরে কলি ভসেে আসছলিো …“এতো সুর আর এতো গান, যদি কোন দনি থমেে যায়। সইে দনি…ভুলে যাবে যে আমায়…।” আসলওে তাই, জামলি সাহবেকে সবাই ভুলে যাব।ে দুঃখ তাকে মনে রাখার মতো আর কউে রইলো না, এমন কি নজিরে ছলেওে। প্রতারণার বরিুদ্ধে জনগণকে সামাজকিভাবে সচতেন হতে হব।ে সাথে সাথে প্রতারণার প্রতকিার হলইে প্রতারণা কমব,ে নচৎে নয়।
লখেক : পুলশি র্কমর্কতা (অব.)(আই.জি ব্যাজ, জাতসিংঘ ও রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত)