বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
বহু বছর ধরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের চারটি রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। সাম্প্রতিককালে ত্রিপুরায় এইডস সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। দিন কয়েক আগেই এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ত্রিপুরায় ৮২৮ জন স্কুল, কলেজ পড়ুয়া এইচআইভি পজিটিভ। তাঁদের মধ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইডস আক্রান্ত পড়ুয়াদের এই পরিসংখ্যান রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশে।
যদিও রিপোর্টটি বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি। তাদের দাবি, রাজ্যে ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত ২২০টি স্কুল এবং ৪৭টি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ৮২৮ জন পড়ুয়া এইডসে আক্রান্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত রাজ্যের অ্যান্টি রেট্রো ভাইরাল থেরাপি সেন্টারগুলিতে ৮ হাজার ৭২৯ জনের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে এইচআইভি পজিটিভ মোট ৫ হাজার ৬৭৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৭০ জন পুরুষ, ১ হাজার ১০৩ জন নারী এবং রূপান্তরকামী একজন।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ত্রিপুরায় রোজ পাঁচ থেকে সাতজন এইডস আক্রান্ত হন। ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সি পড়ুয়াদের মধ্যে ৯৫ শতাংশই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবন করে। বাংলাদেশ, মায়ানমার থেকে বেআইনিভাবে মাদকদ্রব্য পাচার হয়। ত্রিপুরা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেশে। বিএসএফ এবং নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো চেষ্টা করেও মাদক পাচারে রাশ টানতে পারেনি। এই ধরনের মাদক কম দামে বিক্রি হয়। সেগুলির প্রতি ঝোঁক রয়েছে পড়ুয়াদের।
চিকিৎসকদের কথায়, মূলত ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবনের কারণেই পড়ুয়াদের মধ্যে এইডস ছড়াচ্ছে। সাধারণত ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক নিলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। এইডসের পাশাপাশি হেপাটাইটিস বি, সিফিলিসের মতো রোগের আশঙ্কাও থাকে। রাজ্যে এই ধরনের মাদক সহজলভ্য বলেই বিপত্তি বাড়ছে। রাজ্যে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবন নিষিদ্ধ না করলে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হবেই। ক্রমেই এইডস মহামারির আকার ধারণ করতে পারে ত্রিপুরায়।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন