প্রতিশোধ নিতে জোরপূর্বক ধর্ষণ, আদালতে মামলা,প্রকাশ্যে ঘুরছে আসামিরা

আপডেট: জুন ১, ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


প্রকাশ্যে গাঁজা সেবনে নিষেধ করায় ঘরের আসবাবপত্র, মটরসাইকেল ও দরজা জানালা ভাঙচুর করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২ মে রাত ৮ টার দিকে রকি নামের একজনকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করে সন্ত্রাসীরা।

পরে স্থানীয়রা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু এসব করেও ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাইরে আসতেই আবারো হামলার শিকার হয় রকি। সেদিন রকি পালিয়ে বাঁচলেও রেহাই পায়নি তার স্ত্রী।

প্রতিশোধ নিতে গত ৫ মে রাতে রিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর শিরোইল কলোনি ইউসেফ স্কুলের কাছ থেকে সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক নাকে মেডিসিন দিয়ে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে রাত ২ টার দিকে স্থানীয় উদ্ধার করে রামেকের ওসিসিতে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী চন্দ্রীমা থানার শিরোইল গোডাউন এলাকায়।

এ নিয়ে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলো নগরীর শিরোইল কলনী কানার মোড় এলাকার সাদেকের ছেলে পারভেজ (৩৫), একই এলাকার ইব্রাহীম এর ছেলে রুহুল আমিন ( ৩০), হাসানের ছেলে হাসিব ( ২৫),রহমানের ছেলে ইসলাম ( ২৭), মুন্নার ছেলে তিয়াস ও জুবায়েরের ছেলে তিতাসসহ অজ্ঞাত আরো কয়েক জন।

এ ঘটনার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী নিজেই। শনিবার দুপুরে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে এর আয়োজন করা হয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করছে না । আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি এ বিষয়ে আরএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চন্দ্রিমা থানা ওসি (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।