মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তবু থামেনি হামাস বনাম ইসরায়েল যুদ্ধ। গাজায় এখনও হামাস জঙ্গিদের ডেরায় বন্দি শতাধিক পণবন্দি। কবে তাঁরা মুক্তি পাবেন? কবে ফিরবেন ঘরে? এর উত্তর জানতে ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাঁদের পরিবার। এবার শুধুমাত্র পণবন্দিদের জন্য বৈঠক ডাকা হল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে।
এই ৭ মাসে যুদ্ধবিরতি নিয়ে বহুবার আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘে। তখন একাধিকবার পণবন্দিদের মুক্তির প্রসঙ্গও উঠেছে। কিন্তু এই প্রথমবার শুধু ওই বন্দিদের কথা ভেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বৈঠক হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদে। কারণ গাজায় আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ইসরায়েল। রাফাতেও ঢুকতে শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনি। এই পরিস্থিতিতে হামাসের হাতে বন্দিদের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা আরো তীব্র হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড নিরীহ মানুষদের বন্দি বানানোর নিন্দা করে বলেছেন, ‘গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন ইজরায়েলে হামলা চালায়। বহু মানুষকে পণবন্দি বানিয়ে গাজায় নিয়ে যায়। যতদিন না প্রত্যেক বন্দি সুরক্ষিতভাবে ঘরে ফিরছেন, ততদিন আমরা চুপ করে বসে থাকব না।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বুকে বেনজির হামলা চালায় ফিলিস্তিনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। ওই আক্রমণে মৃত্যু হয় ১২শো ইসরায়েলির। জেহাদিদের হাতে পণবন্দি হন ২৪০ জন। গত নভেম্বর মাসে সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে মুক্ত হয়েছিলেন ১০৫ জন।
কিন্তু এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন ১৩২ জন। ফলে যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে অপেক্ষা। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে পণবন্দিদের পরিবারের। গত এপ্রিল মাসেই দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনেও জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আন্দোলনকারীরা।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন