প্রথম বাধা পেরুল ব্রেক্সিট বিল

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে সরকারের ব্রেক্সিট বিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপির সম্মতি পেয়েছে।
বিরোধী দলে থাকা লেবার পার্টির সমর্থনে বুধবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে সরকারের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিল পেয়েছে ৪৯৮ ভোট। এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১১৪ জন এমপি।
এসএনপি, প্লেইড সিমরু ভোটাভুটিতে এই বিলের বিরোধিতা করে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে লেবার পার্টির ৪৭ জন এমপিও বিপক্ষে ভোট দেন।
বিবিসি জানিয়েছে, এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে হাউজ অব কমন্স ও হাউজ অব লর্ডসে আরও যাচাই বাছাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আর আইন হয়ে গেলেই প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটি প্রয়োগ করে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের দর কষাকষি শুরু করতে পারবেন। টেরিজা মে ৩১ মার্চের মধ্যে ওই প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন।
গতবছর জুনে ঐতিহাসিক গণভোটে যুক্তরাজ্যের জনগণ ২৮ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার পক্ষে রায় দেয়।
গণভোটে অপ্রত্যাশিত ওই ফলের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যান ডেভিড ক্যামেরন, দায়িত্ব নেন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা টেরিজা মে।
ব্রেক্সিট বিতর্কে নতুন জটিলতা এড়াতে মে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি এড়িয়ে সরকারপ্রধানের নির্বাহী ক্ষমতাবলে আর্টিকেল ফিফটি প্রয়োগ করার চেষ্টা করলেও সুপ্রিম কোর্টে এক রিট আবেদনের কারণে তার সেই চেষ্টা আটকে যায়।
গত ২৪ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সরকারকে অবশ্যই ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে। এরপর গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সরকারের দ্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (নোটিফিকেশন অব উইথড্রয়াল) বিলের ওপর বিতর্ক শুরু হয়। দুই দিন বিতর্কের পর বুধবার ভোট দেন এমপিরা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন হাউজ অব কমন্সের এই ভোটের ফলকে বর্ণনা করেছেন ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত হিসেবে।
ব্রেক্সিটের পক্ষের প্রথম সারির নেতা জনসন ফেইসবুকে বলেছেন, “আমরা হয়তো ইউরোপীয় চুক্তি থেকে সরে যাচ্ছি, ইউরোপ থেকে না। যুক্তরাজ্য একটি নতুন পরিচয় নিয়ে আবির্ভুত হবে এবং ইউরোপের কল্যাণে অনন্যসাধারণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”- বিডিনিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ