সোনার দেশ ডেস্ক :
জয়ের পথ সংকীর্ণ হয়ে আসছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে অন্তত ২৭০টি নিশ্চিত করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সবগুলো এবং উচ্চকক্ষ সেনেটের ১০০ আসনের ৩৪টিতেও একইসঙ্গে ভোট হয়েছে মঙ্গলবার।
আফসার বিপুল, রোকন রাকিব ও জাহিদুল কবির
ট্রাম্প জিতলে সরকারে ভূমিকা রাখতে চান মাস্ক
রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এবং বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ীদের প্রশাসনে ভূমিকা রাখার সুয়োগ দিলে ফেডারেল এজেন্সির সংখ্যা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
ট্রাম্পের রিসোর্ট ‘মার-এ-লাগো’ থেকে টাকার কার্লসনের অনলাইন শোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, সরকারকে আরও কার্যকর করতে ট্রাম্পের পাশে থাকতে চান।
ট্রাম্পের একনিষ্ঠ সমর্থক টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও মাস্ক বলেন, “আমাদের বিশাল আমলাতন্ত্র রয়েছে, আমাদের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।
“আমেরিকা নির্মাণে আমাদের নির্মাতা তৈরি করতে দেওয়া দরকার।”
স্নায়ুর চাপে ডেমোক্র্যাট শিবির
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনায় রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প জয় পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে ডেমোক্র্যাট শিবির। কমলা হ্যারিস জাতীয়ভাবে জয় পাবেন, ডেমোক্র্যাট শিবিরের এমন আশাও দোলাচালে পড়ে গেছে।
ট্রাম্প জয় পাওয়ায় নর্থ ক্যারোলাইনার ১৬টি ইলেটোরাল ভোট তার হিসাবে যোগ হয়েছে।
ডেমোক্র্যাট দলীয় সাবেক অঙ্গরাজ্য সেনেটর ও প্রতিনিধি স্যাম কুইন বলেন, “কমলা হ্যারিসের জন্য আমরা এটি (নর্থ ক্যারোলাইনা) জিততে পারিনি বলে আমার রাগ হচ্ছে, কিন্তু যা হয়েছে তা এটাই।”
এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের অর্থ সংগ্রহে সহায়তা করা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা কুইন আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আমরা জয়ী হতে পারবো। আমি সত্যিৃ জয়ের জন্য আমি অনেক খেটেছি আর তাই আমি হতাশ।”
জাতীয়ভাবে হ্যারিস ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন কি না, তাই নিয়ে এখন দোলাচালে আছেন কুইন; তিনি বলেন, “আমি উদ্বিগ্ন, কিন্তু আমি এখনও আশাবাদী। আমি এখনও তাদের বদলে আমাদের জয় চাই।”
নর্থ ক্যারোলাইনার জয়ে আরো এগিয়ে ট্রাম্প
১৬ ইলেকটোরাল ভোটের ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট নর্থ ক্যারোলাইনায় জিতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে আরেকটু এগিয়ে গেলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
যে সাতটি অঙ্গরাজ্যকে স্যুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্য বলা হচ্ছে, তার মধ্যে নর্থ ক্যারোলাইনাতেই প্রথম ফলাফল এল। বাকি ছয় রাজ্যেও ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের এ অঙ্গরাজ্যে কোনো দলের নিরঙ্কুশ প্রাধান্য না থাকলেও গত দুটি নির্বাচনেও তারা ট্রাম্পের পক্ষে রায় দিয়েছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্প এ রাজ্যে জিতেছিলেন ৩.৬৬% ভোটের ব্যবধানে। আর ২০২০ সালে ১.৩৪% ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ রাজ্য কোনো ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে বিজয়ী করেছিল। সেবার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু পরেরবার, ২০১২ সালে ওবামা নর্থ ক্যারোলাইনায় হেরে গিয়েছিলেন রিপাবলিকান মিট রমনির কাছে।
প্রাথমিক ফলাফলে বেশিরভাগ সুইং স্টেটে এগিয়ে ট্রাম্প
ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিতি পাওয়া অধিকাংশ দোদুল্যমান রাজ্যে প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প।
জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং পেনসিলভেইনিয়ায় তিনি এগিয়ে আছেন, যেখানে বেশিরভাগ ভোট গণনা করা হয়ে গেছে।
অ্যারিজোনা ও উইসকনসিনেও তিনি ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন। এ দুই রাজ্যে অর্ধেকের বেশি ভোট গণনা হয়েছে।
আর হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন মিশিগানে, সেখানে ৩২% ভোট গণনা হয়েছে।
এই রাজ্যগুলোর কোনোটিতেই এখনও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পর্যায়ে যায়নি। পরের ভোট গণনায় হাওয়া বদলেও যেতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, বিডিনিউজ