প্রধানমন্ত্রীকে বরণের অপেক্ষায় রাজশাহী

আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ

দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা আজ রাজশাহী আসছেন। পাঁচ বছর পর তাঁর এই রাজশাহী সফর। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দিবেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাজশাহী অঞ্চলের দলীয়-কর্মি-সমর্থকদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমন প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষেরও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। কৌতুহল নিয়ে তারাও অপেক্ষা করছে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর সমাবেশে কী বলেন, দেশবাসীকে কী নির্দেশনা দেন। বলা হচ্ছে, রাজশাহীর সমাবেশ দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হবে। রাজশাহীর মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে সাদরে বরণ করে নিতে প্রস্তুত, বিপুল-উৎসাহ-উদ্দীপনায় তারই অপেক্ষা।
প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে রাজশাহীর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের কর্মিরা একমাস ধরে নিরলস পরিশ্রম করে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে রাজশাহীকে সাজানো হয়েছে বর্ণিলরূপে। সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন। এ গুলোতে সরকারের উন্নয়ন চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী জনসভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সবদিক থেকে সমানে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। টানা একমাস ধরে রাজশাহী নগরী ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা-উপজেলা, গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আগমনী বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা নিরলসভাবে কাজ করেছেন জনসভা সফলের লক্ষ্যে।
দলের মধ্যে ছোটখাটো কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলেও সকল নেতাকর্মি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন। দলীয় নেতাকর্মিদের মধ্যে এমন উৎসাহ- উদ্দীপনা এর আগে আর কখনো দেখা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি সমাবেশের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
প্রধানমনন্ত্রী একইসাথে রাজশাহীতে উন্নয়নমূলক ১ হাজার ৩১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ২৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আনুমানিক ৩৭৬ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরো ৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
এটা পরিষ্কার যে, প্রধানমন্ত্রীর এ পর্যায়ের রাজশাহী সফরের মধ্য দিয়ে নির্বাচনি ঢোলে ঢাকে আওয়াজ তুলবেন। উদ্দেশ্য দলের নিতাকর্মি ও সমর্থক এবং জনসাধারণকে নির্বাচনমুখি করা। তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজশাহীর মানুষের পাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তাঁর টানা তিনবারের শাসনামলে রাজশাহীর মানুষ পেয়েও পেয়েছেন, না চেয়েও পেয়েছেন। এখন রাজশাহীর মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সানন্দে দিবেন সেটাই স্বাভাবিক। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আবারো আওয়ামী লীগ অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায়িত করাই প্রত্যাশিত। এই প্রত্যাশা খুবই যৌক্তিক এই কারণে যে, শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদের সরকার পচিালনসায় বাংলাদেশ উন্নয়নে নব নব মাত্রা অতিক্রম করে চলেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব পরিসরে মর্যাদার রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বও বাংলাদেশ গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। আর্থ-সামজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সক্ষমতা বিশ্ব ‘মিরাকল’ মানছে। জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনেও বাংলাদেশ বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তাই একজন শেখ হাসিনা বাংলােেদশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তাঁর কাছেই নিরাপদ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহীতে স্বাগতম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ