শনিবার, ৬ মার্চ, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ২১ ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নারী উন্নয়ন ফোরাম বিভাগীয় পর্যায়ে ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা, শিখন ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার আবদুল হান্নান বলেছেন, সরকার নারীর দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সুশাসন নিশ্চিত ও প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। নারী উন্নয়ন ফোরাম সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ মডিউল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ফোরাম স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় বাল্যবিবাহ, যৌতুক, যৌন হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে। ফোরাম নারীবান্ধব প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজশাহী সার্কিট হাউজে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় রাজশাহী উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর প্রতি সহিংসতা সহ্য করেন না। তিনি নারীদের ব্যাপারে খুব সচেতন। নারী উন্নতির জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এছাড়া তিনি নারী উন্নয়ন ফোরাম স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের (ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ) সামগ্রিক কার্যক্রমে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, পরিষদের কার্যক্রম অধিকতর কার্যকরী ও নারীবান্ধব করা, সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও জেন্ডার সংবেদনশীল করা এবং পরিষদে নারীবান্ধব পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষে নারী উন্নয়ন ফোরাম গঠনের প্রতি গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক শ্যাম কিশোর রায়। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুনির হোসেন, জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন। নারী উন্নয়ন ফোরামের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং সম্পাদিত কার্যক্রমসমূহের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন, রাজশাহী বিভাগীয় ইউজেডজিপি ডিভিশনাল ফ্যাসিলিটেটর এম রফিকুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের ৯ জন ডিডিএলজি, ৬৭ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান, সাংবাদিকসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা নারী উন্নয়ন ফোরামের উল্লেখ্যযোগ্য সফলতা ও শিক্ষণীয় বিষয়, ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দলীয় কাজ, দলীয় উপস্থাপনা, মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা নারী ফোরামের জন্য নিজস্ব কার্যালয়, বিধবা ভাতা, বিদেশ পাঠানো, পরিকল্পনা, বাজারজাতকরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, বিধবাদের ঋণ প্রদান, নঁকশী কাথা প্রশিক্ষণ, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখাসহ ইত্যাদি সুপারিশ করেন বিভাগীয় কমিশনারের নিকট।