প্রধানমন্ত্রী ভারতে সফরে যাচ্ছেন || আজ সার্বিক সফলতাই জাতির প্রত্যাশা

আপডেট: এপ্রিল ৭, ২০১৭, ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক গুরুত্বপুর্ণ সফরে ভারতের রাজধানী দিল্লি যাচ্ছেন আজ। প্রধনমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব এক নতুনমাত্রায় উন্নীত হবে। একই সঙ্গে উভয় দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় সূচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে ১০ এপ্রিল বিকেলে দেশে ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপির বেশ সরব অবস্থানে আছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যে চুক্তি হবে তা জন সম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা কয়েকদিন ধরেই প্রধান মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের বিবৃতি-বক্তব্য দিয়ে আসছে। ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি হতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা বলে এ ধরনের চুক্তিকে বিএনপি সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। যদিও বিএনপির রাজনীতি ভারত বিরোধিতা একটা মূল অনুষঙ্গ। সময়ের প্রয়োজনে রাজনীতিতে পরিবর্তন আসলেও  বিএনপি তার এই অবস্থান থেকে সরে আসতে পারে নি। কিন্তু স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জুজুর ভয় খুব একটা কার্যকর হচ্ছে তা আর বলা যায় না। বরং বিএনপির এসব দাবি যে অসাড় তা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।
১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি এবং তার আগে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিবাহিনীর সাথে চুক্তি নিয়ে বিএনপির সমালোচনা ও স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব হুমকির  কথা দেশবাসী জানে। বরং ওইসব চুক্তি দেশের জন্য কল্যাণকরই হয়েছে। এর প্রমাণ হলো এসব চুক্তি বিএনপি ক্ষমতায় থাকার পরও তা বাতিলের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য ভারত বিরোধিতার জুজু যে আর কাজ করছে না তা বিএনপির রাজনীতি বুঝে উঠতে পারছে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দেশবাসীতে আশ্বস্ত করেছেন যে,  বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণœ করে ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবেন না। পাশাপাশি এনিয়ে বিএনপির বিরোধিতাকে আমলে নিচ্ছেন না বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কথায়ই আশ্বস্ত হতে চাই। অতীত অভিজ্ঞতা তা-ই বলে। প্রধানমন্ত্রী দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করতে পারেন এটা বিশ্বাসযোগ্য কোনো বিষয় নয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ আজ এক গৌরবময় সময় অতিক্রান্ত করছে। তিনি উন্নয়নের ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন। প্রকৃত অর্থেই দেশকে একটি মর্যাদাশীল ভাবমূর্তি দিতে পেরেছেন।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী সংবাদ সম্মেলনে জানান, শেখ হাসিনার সফরে ৩৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। তবে সামরিক কোনো চুক্তি হচ্ছে না, হবে সমঝোতা স্মারক।
এসব চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকের বেশিরভাগই বর্ডার হাট স্থাপন, তথ্য ও সম্প্রচার, বেসমারিক পারমাণবিক সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট ও মহাকাশ গবেষণা, ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা, ভারত প্রদেয় তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি), কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্পর্কিত বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বহুল আলোচিত প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সার্বিকভাবে সফল হোক এই প্রত্যাশা রইল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ