রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
মিথুশিলাক মুরমু
খ্রিষ্ট ধর্ম ইসলাম ধর্মের মতোই এশিয়ার ধর্ম। ভারতবর্ষে যীশুর ১২ জন শিষ্যের অন্যতম শিষ্য টমাস (সাধু থোমা) ৪৯ খ্রিষ্টাব্দে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের জন্য এই ভূখ-ে আসেন। আমার দেশের জনসাধারণের মধ্যে ভ্রান্তধারণা রয়েছে যে, ইংরেজ মিশনারিরা এদেশে খ্রিষ্টধর্ম এনেছেন; ফলে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের মনে খ্রিষ্টধর্মকে ইংরেজদের (সাহেবদের) ধর্ম এবং ইংরেজরাই ধর্মের রক্ষক এ ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। মূলতঃ আমাদের খ্রিষ্টিয় সমাজ সৃষ্টি হয়েছে হিন্দু, মুসলিম, প্রান্তিক ও আদিবাসী সমাজ থেকে ধর্মান্তরিত জনগোষ্ঠী নিয়ে। ফলে নামকরণ, সংস্কৃতি এবং আচার-আচরণ গঙ্গা, ভাগীরথী এবং স্বরস্বতী নদীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির প্রবল প্রভাব রয়েছে। বাংলাদেশের খ্রিষ্টিয় সমাজ মোটামুটিভাবে মধ্যবিত্ত সমাজ। খ্রিষ্ট সমাজ অর্থনৈতিক দিক থেকে মধ্যবিত্ত সমাজ হলেও সাধারণত ৩টি স্তরে এই সমাজকে দেখা যায়। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নি¤œবিত্ত। এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত সমাজ বড়দিনের উৎসব তিনভাগে উদযাপিত হয় থাকে। বিশেষ করে সামাজিক ক্ষেত্রে। আমাদের চার্চগুলিও আমরা তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে থাকি। গ্রামীণ চার্চ, শহরের চার্চ এবং মহানগরীর চার্চ। বর্তমান বাংলাদেশের খ্রিষ্টিয় সমাজ একদা গঙ্গা-ভাগীরথী এবং স্বরস্বতীর সাংস্কৃতিক বলয় থেকে মুক্ত হয়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার সংস্কৃতি গ্রহণ করেছে।
প্রভু যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন বড়দিন। খ্রিষ্টের জন্ম, মৃত্যু ও পুণ্য পুনরুত্থান সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যৎবাণী তাঁর মহাত্মার প্রকাশ করে। মহামানবদের মধ্যে যীশুর পুণ্য রহস্যময় জীবন তাঁকে পৃথক করে তুলেছে। বড়দিন খ্রিষ্টের আদর্শকে আমাদের সামনে তুলে ধরে। খ্রিষ্টিয় আদর্শকে প্রতিদিন অনুশীলন করার মধ্য দিয়েই প্রকৃত বড়দিন-এর মহত্ব প্রকাশ পায়। যীশুর মাধ্যমে আমরা ঈশ^রকে পিতা হিসেবে পেয়েছি, তার প্রেমের সন্তান হয়েছি; তাঁর জন্মের মধ্যে দিয়ে আমরা ঐশসত্ত্বার সহভাগী হতে পেরেছি। ঐশ^ বাণী আমাদের অপর খ্রিষ্ট হতে সাহায্য করে, জীবনের প্রতি বিশ^স্ত থাকতে উৎসাহ দেয়, আমাদের পবিত্র করে, শূচি-শুভ্র করে, মনের পরিবর্তন ঘটনায়, মন্দতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে প্রেরণা দেয়, সান্ত¡না-আনন্দ দেয়, দুঃচিন্তা ও ভ্রান্তি দূর করে, বিভেদ দূর করে এক করে একাত্মা করে একতাবদ্ধ করে, বিবেককে জাগ্রত রাখে। অন্তরকে স্বর্গে পরিণত করে, স্বর্গীয় পিতার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে সুযোগ করে, চিন্তাকে পরিশুদ্ধ করে এবং কাজকে সুন্দর করে।
গ্রামীণ চার্চ: গ্রামীণ চার্চগুলিতে একমাস পূর্ব থেকেই বড়দিন উদ্যাপন কর্মসূচি চলতে থাকে। প্রথমতÑ প্রতি রাতেই কীর্তন গান, বড়দিন ভিত্তিক নাটকের প্রস্তুতি হিসেবে নাটকের রিহের্সাল, সান্ডেস্কুলের বিভিন্ন কর্মসূচির মহড়া চলে। বড়দিনের ঠিক ৭ দিনের পূর্বে ঘরবাড়ি লেপামোছা, দরজা-জানালা পরিষ্কার ও নতুন রং করা, আল্পনা আঁকা, পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন কাপড়- চোপড় ক্রয়, পিঠা-পায়েসের জন্য চালের গুড়ি তৈরি, রং বেরং-এর কাগজ দিয়ে নিজেরা ঝালর কেটে ঘর সাজানো হয়। পাশাপাশি গির্জা ঘরকেও সাজানো হয় নতুন সাজে। বড়দিনের পূর্বে সারারাত গ্রামের খ্রিষ্টভক্তরা হারমনিয়াম, ঢোলক, বাঁশি ইত্যাদির সাহায্যে কীর্তন করে থাকে। মায়েরা রাত জেগে হরেক রকমের পিঠা-পায়েস ইত্যাদি বানায়। ছেলেমেয়েরা প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কীর্তন করে যীশুর জন্ম বারতার সংবাদ পৌঁছায় দেয়। বড়দিনের সকালে মা-বাবা, ছেলেমেয়ে সবাই মিলেমিশে উপাসনায় যায়। সবার পরণে থাকে নতুন জামা-কাপড়, নতুনতার ছোঁয়ায় উৎফুল্ল মনে গির্জায় যোগ দেয়। সাধারণত ৮টা থেকে উপাসনা শুরু হয়। প্রাচীনেরা ঘরে থাকে, কারণ দেশের পারিপাশির্^ক পরিস্থিতিতে গরু-ছাগল চুরি ঠেকানোর জন্যে একজনকে থাকতে হয়। গির্জাঘরকে মোহনীয় করার জন্য মোমবাতি এবং আগরবাতি জ¦ালানো হয়, সময় সময় গোলাপ জল ছিটানো হয়। গির্জা চলে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী। পুরোহিত দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য ঈশ^রের কাছে প্রার্থনা উৎসর্গ করে। উপাসনাচলাকালীন মাঝে মাঝে কীর্তন হয়। ছেলেমেয়েরা ছোট-খাটো নাট্যাংশও দৃশ্যায়ন করে। দুপুরে প্রেমভোজ অনুষ্ঠিত হয়। বড়দিনের প্রেমভোজকে সামনে রেখে পূর্বাহ্নেই চার্চ থেকে একটি কমিটি তৈরি করা হয়। কমিটি চাঁদা তুলে এবং গির্জার ভা-ার থেকে কিছু অর্থ নিয়ে প্রেমভোজের আয়োজন করে। বড়দিনের গির্জার পর সকলে একই ভ্রাতৃত্বে আয়োজিত প্রেমভোজে শরিক হয়। বড়দিনের ভোজের খাদ্য তালিকায় থাকেÑমাছ, মাংস এবং পায়েস ইত্যাদি। সন্ধ্যা বেলায় নাটক মঞ্চস্থ করা হয়, কোনো কোনো গ্রামীণ চার্চে ২/৩ দিন পর্যন্ত নাটক চলে। আনন্দ উৎসবের রেশ চলে নতুন বছর পর্যন্ত। গ্রামের লোকজন নতুন বছরকে ছোটদিন হিসেবেও বলতে শোনা যায়।
দল বেঁধে চার্চে যাচ্ছে: দিন-ক্ষণ-সময় ঘনিয়ে এলে খ্রিষ্ট বিশ^াসীরা নতুন পোশাকে সজ্জ্বিত হয়ে দল বেঁধে বড়দিনের গির্জায় আসে। মা-বাবা, ভাই-বোন, বৃদ্ধা-বৃদ্ধ সকলেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করে স্বর্গীয় আর্শিবাদের অংশীদার হতে চান। উত্তরীয় শৈত্য প্রবাহকে উপেক্ষা করে গ্রামের চার্চসমূহে হেঁটে হেঁটে আবার শহরে হলে রিক্সাতে, গাড়িতে করে চার্চে উপস্থিত হন। সবর্ত্রই তিনবার ঘণ্টা বাজানো হয়। প্রথম ঘণ্টা, দ্বিতীয় ঘণ্টা এবং শেষ ঘণ্টা বেজে উঠলেই উপস্থিত ভক্তজনেরা গির্জার আসনে বসে পড়েন। চার্চ আরম্ভের পূর্বেই খ্রিষ্ট বিশ^াসীদের সমাগম বাড়তে থাকে, চার্চ কানায় কানায় ভরে যায়, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ বাইরে দাঁড়িয়েও প্রভুর সান্নিধ্য পেতে চেষ্টা করে। কোথাও কোথাও চার্চের বড় খোলা জায়গায় সামিয়ানা টাঙিয়েও বড়দিনের গির্জা করতে দেখা যায়। বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব এবং পবিত্রতম দিনে ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধা-বৃদ্ধ সকলেই এই গির্জায় সামিল হয়ে প্রভুর অযাচিত আর্শিবাদের প্রত্যাশা করে। ঘরে বাইরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। চার্চ শেষে পরিচিতজনরা একে অপরের মধ্যে বড়দিনের কুশল বিনিময় করে থাকে, নিত্যনতুন পোশাক পরিহিত ছেলেমেয়েরা চার্চের বারান্দায়, খোলা মাঠে ছোটাছুটি করে, চার্চের পাদ্রি/পুরোহিত উপস্থিত খ্রিষ্টভক্তদের প্রত্যেকের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা সহভাগিতা করে থাকে। একে-অপরও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
চার্চে প্রার্থনা: বড়দিনকে সামনে রেখে পূর্ব থেকেই সাজগোজ করা হয় চার্চকে। হরেক রকমের রঙিন কাগজের তৈরি জিনিসপত্রে চার্চকে সাজিয়ে আকর্ষিত করে তোলা হয়। একটি বড় তারা সবার দৃষ্টিগোচরের জন্য টাঙানো হয়। পূর্ব দেশের প-িতগণ (সম্ভবত চিন দেশের) আকাশের এই তারাকে অনুসরণ করে যীশুর কাছে পৌঁছে ছিলো। প্রভুকে সঁপে দিয়েছিলো সোনা, লোবান ও গন্ধরস। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সোনা হচ্ছেÑ রাজার প্রতীক, লোবান হলো- পুরোহিতের প্রতীক এবং গন্ধরস হচ্ছে- মৃত্যুর প্রতীক। আগত বিশ^াসীদের গায়ে নতুন জামা কাপড়ে থাকায় সবার মন উৎফুল্ল মনে হয়। সারা বছর আধ্যাত্মিক বলয় থেকে দূরে থাকলেও আত্মিক খাদ্যে তৃপ্ত হওয়ার জন্যেই বড়দিনের গির্জায় খ্রিষ্টভক্তরা সুশৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে আসেন গ্রহণ করে থাকে। পাদ্রি/পুরোহিত ধীরে ধীরে চার্চ পরিচালনার বেদীর দিকে অগ্রসর হন, সাদা ধবধবে ক্যাসাক পরিহিত, হাত দুটি করোজড়সহকারে এবং বিন¤্র চিত্তে। সমবেত খ্রিষ্টভক্ত সবাইকে খ্রিষ্টিয় জন্মের শুভেচ্ছা সম্ভাষণ জানান। পাদ্রি/পুরোহিত সকলকে উদ্দেশ্যে প্রায়শঃই বলে থাকেন, ‘আজ বড়দিন, খুশির দিন, আনন্দের দিন, মহামিলনের দিন। আমরা যাঁর জন্মোৎসব পালন করছি, তিনি নিজেই শান্তির দূত, মিলনের সেতু, আনন্দের উৎস এবং মুক্তিদাতা। তার জন্মে বিশ^ব্রহ্মা- উৎসব করেছে, উৎসব করেছে আকাশের তারা, স্বর্গের দেবদূত ও মাঠের রাখালেরা। আমাদের ত্রাণকর্তার জন্মতিথিতে উৎসব করছি আমরা।’ পাদ্রি/পুরোহিত খ্রিষ্টভক্তদের আহবান জানায় প্রার্থনায় অংশগ্রহণের জন্য। শান্তিরাজের নিকট প্রার্থনাতে থাকে প্রতিটি মানুষের, চার্চের পুরোহিতগণ, খ্রিষ্টিয় নেতৃবৃন্দ, দেশ ও জাতির নেতৃবৃন্দের, বিশে^র নেতৃবৃন্দের জন্য, নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রার্থনা পরম পিতার নিকট উৎসর্গ করা হয়। পবিত্র পিতার চরণে পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের জন্য ঐশ^রিক জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও ভালোবাসার মনোভব বর্ষণের মিনতি জানানো হয়। এছাড়াও দেশের সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও তথা সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্যও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অবনত মস্তকে নিজেদের সমস্ত দূর্বলতা, পাপ পঙ্কিল মন ও অপরাধ স্বীকার করে দেশকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস থেকে আরগ্যের জন্য উপস্থিত খ্রিষ্টভক্তগণ রাজাদের রাজা, প্রভুদের প্রভুর আশির্বাদ যাচনা করেন।
সান্তাক্লজ: বড়দিনের গির্জার পর সন্ধ্যার দিকে বড় কোনো অডিটরিয়ামে, হলরুমে সান্তাক্লজ অনুষ্ঠান হয়। চার্চের পাদ্রি/পুরোহিত বা একজন সাধারণ খ্রিষ্টভক্তকেও সান্তাক্লজ সাজানো হয়। সান্তাক্লজ কাকে মনোনীত করা হচ্ছে তা শুধুমাত্র কয়েকজন অবগত থাকেন। তাঁর পোশাক পরিচ্ছেদ অদ্ভূত ধরনের হয়ে থাকে। সাদা লম্বা আলখাল্লাও হতে পারে, আবার রঙ্গিনও হতে পারে। তাঁর মাথায় থাকে ইয়া লম্বা টুপি, মুখ ভর্তি সাদা ধবধবে লম্বা দাড়ি ও মুখোশ পরিহিত। চলনে, বলনে যেন স্বর্গীয় দূতের প্রতিনিধি। চার্চ থেকে চার্চের সদস্য/সদস্যাদের জন্য ছোট ছোট উপহার পূর্বেই ক্রয় করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য থাকে আকষর্ণীয় উপহার, প্রত্যেকটি উপহার সামগ্রীতে একেকজনের নাম লেখা থাকে। রঙ্গিন আলোর ঝলকানিতে অনুষ্ঠান শুরু হলে সান্তাক্লজ মোহনীয় ভঙ্গিতে, স্পষ্ট কণ্ঠে ঘোষণা করে বিভিন্নজনের নাম। মাঝে মধ্যে বিরতি দিয়ে সান্তাক্লজ অত্যন্ত মিশুক ও সহজ-সরল ভঙ্গিতে বাচ্চাদের আদর করে, নিজে নাচে ও বাচ্চাদের নাচায়। নাচের ফাঁকে ফাঁকে চকলেট ইত্যাদি দিয়ে উৎসাহিত করে থাকে। এইজন্য সান্তাক্লজ ছেলেমেয়েদের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। বড়দিনের অংশ হিসেবে জাঁকজমকের সাথে পালিত হয়ে থাকে সান্তাক্লজ।
ক্রিসমাস ট্রি: বড়দিনের বেশ কয়েকদিন আগেই ঢাকার বড় বড় চার্চে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়। কোনো কোনো জায়গায় সবুজ সজীব ক্রিসমাস ট্রি, আবার কোথাও আর্টিফিসিয়ালভাবে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়। আর্টিফিসিয়াল ক্রিসমাস ট্রি’টি শক্ত কাগজ দিয়ে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন সাইজের ক্রিসমাস ট্রি পাওয়া যায়, তবে সর্বোচ্চ ৫/৬ ফুট উচ্চতাও হতে পারে। চার্চের বারান্দায় বা খোলা জায়গায় কালার লাইট দিয়ে আকষর্ণীয়ভাবে সাজানো হয়। সন্ধ্যার সময় লাইটগুলো যখন তালে তালে জ¦লে উঠে, সেই পরিবেশটি সবচেয়ে বেশি উপভোগ্য। ক্রিসমাস ট্রি-এর শাখা প্রশাখাতে হরেক রকম জিনিস বেঁধে দেওয়া হয়Ñ যেমন চকলেট, আপেল, কমলা বেলুন, ইত্যাদি; যেন বাচ্চারা সত্যিকার গাছ ভেবে পেড়ে খেতে পারে, খেলতে পারে। ক্রিসমাস ট্রি বড়দিনের আনন্দকে ছোট-বড় সকলের মধ্যে বাড়িয়ে তোলে।
উপসংহার: বড়দিন প্রেরণা, চেতনা ও শক্তি লাভের দিন। এই প্রেরণা খ্রিষ্টিয় শিক্ষা ও আদর্শ জীবনে প্রকাশ করা ও জীবনে অনুকরণ করার প্রেরণা, এই চেতনা খ্রিষ্টিয় জীবনকে নতুনভাবে নতুন স্বাদে অনুশীলন করার চেতনা; খ্রিষ্টিয় আদর্শকে প্রতিদিন উদযাপন করার চেতনা। তাই আসুন, যার খাবার নেই তাকে একটু খাবার দিই, যার পোশাক নেই- তাকে নতুন জামা দিই, যাদের সাথে বিরোধ ছিলো তাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করি, শত্রুকে ভালোবাসি, ক্ষমা করি অপরাধীকে।