বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি:
গ্রামে ফলের বাগানসহ সিংড়া পৌর এলাকায় অর্ধকোটি টাকা মূল্যের জায়গা, এছাড়াও ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য শাহাদাত হোসেন। তার এত সম্পদের বিষয়ে জানত না গ্রামবাসী। গ্রামের বাড়িতে না থাকলেও তিনি বছরে দু-একবার আসেন। থাকেন ঢাকার মিরপুরে নিজস্ব বাড়িতে। শাহাদাত হোসেন এলাকায় ‘শখেন’ নামেই বেশি পরিচিত।
বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্য শাহাদত হোসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিরগাছা এলাকার মৃত বাহার আলীর ছেলে চাকরি করেন নারায়নগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে। শাহাদাত তার গ্রামে দেড় বিঘার ফলের বাগান ও বিলে পাঁচ বিঘা জমি কিনেছেন। সিংড়া পৌরসভার উপশহরে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় কিনেছেন ৮ শতাংশ জায়গা। পৌরসভার সরকারপাড়া মহল্লায় কিনেছেন ৫ শতাংশ জায়গা। এ ছাড়া ঢাকার ইব্রাহিমপুর ১টি ফ্লাট এবং মিরপুর ১৪ এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি।
এলাকাবাসী জানায়, ২০০২ সালের দিকে এই এলাকার সাবেক সচিব মখলেছুর রহমান শাহাদাতকে চাকরি দিয়েছিলেন। তবে তিনি প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত তা প্রতিবেশীরা জানত না। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পরে বিষয়টি তারা জানে।
শাহাদত হোসেনের চাচাত ভাই হাফিজুর রহমান জানান, শাহাদত চাকরি জীবনের প্রথম কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে যোগদান করেন। গ্রামে বাবা মায়ের ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জায়গা ছাড়াও অল্প কিছু জায়গা কিনেছেন। শাহাদত যে প্রশ্ন ফাঁস কওে আমার তা জানা নেই।
শাহাদতের বড় ভাই শাইদুল ইসলাম জানান, ভাই হলেও শাহাদত আমাদের কোন খোঁজখবর নেয় না। গ্রামে তেমন আসে না আর কোথায় চাকরি করেন তাও আমরা জানি না। তবে শুনেছি ঢাকায় তার দুইটা নিজস্ব বাসাসহ সিংড়া শহরে তিনটা জায়গা আছে তার। তাকে চাকরি দিয়েছেন আমাদের এলাকার সাবেক সচিব মখলেছুর রহমান।
তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, শাহাদতের চাকরি শুরু কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে। এরপরে রাজশাহী এবং বর্তমানে নারায়নগঞ্জে চাকরি করেন শুনেছি। তার সিংড়া শহরে তিনটি জায়গা আছে ঢাকাতে বাসা আছে। একজন নিরাপত্তা কর্মী হয়ে কিভাবে এত জায়গা জমির মালিক হলেন। শাহাদত প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সদস্য শুনে এলাকায় সরগোলের সৃষ্টি হয়েছে।