মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীতে প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় অস্বাভাবিক হারে জরিমানা বন্ধ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইন মোতাবেক জরিমানা করার দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুরে নগরীর ঘোষপাড়াস্থ ব্লাক ক্যাফে রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওর্নাস অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী শাখার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাজশাহী শাখার সভাপতি ডা. এসএমএ মান্নান বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজশাহীতে বিভিন্ন ক্লিনিক বা হাসপাতালে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু এ জরিমানা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ নম্বর ধারায় না করে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা করে প্রণিত ভোক্তা অধিদফতরের ৭৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনার আহ্বান জানান। অথচ প্রতিষ্ঠানগুলোতে মোবাইল কোর্ট ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করছে। যা বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রযোজ্য নয়। স্বাস্থ্য বিভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দেখা বা তদারকি করার জন্য সিভিল সার্জনের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সাধারণ সম্পাদক মুখলেসুর রহমান শাহ, সদস্য ডা. জিএম কবির, মাহতাব উদ্দিন জীবন, নওগা জেলার সহসভাপতি দেওয়ান রেজাউন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. গোলাম রাব্বানী, যুগ্মসম্পাদক শামসুল হক বকুল, নাটোর জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল রাজা প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে বলা হয়, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১৯৮২ সালে তৎকালীন সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি আইন প্রণয়ন করে। এই আইনের ১৩ নম্বর ধারায় যে শাস্তির বিধান আছে সেই আইন মোতাবেক জরিমানা করার দাবি জানানো হয়। আইনের তেমন কোন বাধ্য বাধকতা না থাকায় স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এমনকি যে কেউ যেকোন স্থান বা বাড়িতে হাসপাতাল/ক্লিনিক/ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্ঠান করেছেন।
এছাড়া বলা হয়, বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের পাশাপাশি অর্ধেকের বেশি দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য এ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়নের জন্য সরকারের নিকট অনুরোধ জানান কর্তৃপক্ষ।