বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার হাতে নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো ঋতুপর্ণা চাকমার বিজয়ী হাসি যেন আর থামেই না। এরপর যখন কথা বলতে শুরু করলেন, দূর থেকে সতীর্থরা হাঁক দিল, ‘এদিকে আয়’। অল্প কথায় নিজের অনুভূতি জানিয়েই এই ফরোয়ার্ড ছুটলেন সতীর্থদের দিকে।
কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে মুকুট ধরে রাখার অভিযান সফলভাবে শেষ করে বাংলাদেশ। ৫২তম মিনিটে মনিকা চাকমা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান আমিশা কারিকা। ৮১তম মিনিটে ঋতুপর্ণার করা গোলটি আগলে রেখে জয়ের আনন্দে মাতে বাংলাদেশ।
গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচে ঋতুপর্ণা ছিলেন আক্রমণের সুর বেঁধে দেওয়ার কারিগর। ভুটানের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে এসে গোলের খাতা খোলেন তিনি। এরপর ফাইনালের মঞ্চে গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য; জিতলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
এমন প্রাপ্তির উচ্ছ্বাসে ভেসে প্রাণ খোলা হাসিতে ঋতুপর্ণা জানালেন, সেরা খেলোয়াড় হবেন, এমনটা তিনি ভাবেননি কখনও।
“সেরা খেলোয়াড় হব, এটা আমি ভাবতেও পারিনি। পেয়ে আমি অনেক খুশি। খুব ভালো লাগছে। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয়।”
ফাইনালে গোল পেয়েছেন, এখন তো বলতে পারেন, আপনার কপাল ভালোৃএ কথা শুনেই ফের হাসতে শুরু করলেন ঋতুপর্ণা।
“(হাসি)ৃআপনাদের দোয়ায় আমি গোল করতে পেরেছি। খেলা উঠতে একটু সময় লাগে, পরিস্থিতি দেখছিলাম।”
কথাও শেষ করলেন না ঋতুপর্ণা, ছুটলেন সতীর্থদের দিকে, যেখানে তার অপেক্ষায় ছিলেন সাবিনা-মারিয়া-মনিকারা।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ