শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
তদবির এড়াতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একক ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষক বদলি নির্দেশিকা ২০১৫ এর ১.২ ও ২.৮ নির্দেশিকাটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে মঙ্গলবার অফিস আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, অন্যান্য নির্দেশনার আলোকে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃবিদ্যালয়, আন্তঃউপজেলা/আন্তঃথানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন এবং আন্তঃবিভাগ বদলি করতে হবে।
“বদলির প্রক্রিয়াতে কোনো ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন এবং বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শিক্ষক বদলির নির্দেশিকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের হাতে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলির ক্ষমতা আছে। সাধারণ প্রতি শিক্ষা বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে একই উপজেলা/থানা, আন্তঃউপজেলা/থানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃসিটি করপোরেশন ও আন্তঃবিভাগে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলি করা হয়।
অফিস আদেশে কিছু বলা না হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনেক শিক্ষক ঢাকায় ও বিভিন্ন সিটি করপোরেশন এলাকায় বদলি হতে কয়েক মাস ধরে মন্ত্রণালয়ে তদবির করছেন।
“অনেকে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশ নিয়ে মন্ত্রী-সচিবের কাছে আসছেন। খালি পদের থেকে তদবিরকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা। ২০১৫ সালের ৫ জুলাই শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত সবশেষে নির্দেশিকা জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই নির্দেশিকা ১.২ এ বলা আছে, যুক্তিসঙ্গত কারণে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে বদলি শেষ না করা গেলে মন্ত্রণালয় যে কোনো সময়ের মধ্যে বদলি করতে পারবে।
আর ২.৮ নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনস্বার্থে যে কোনো কারণে যে কোনো শিক্ষককে যে কোনো সময় বদলি করতে পারে। এখন এই দুটিই স্থগিত করেছে মন্ত্রণালয়।- বিডিনিউজ