প্রাথমিক শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি, উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানে পদক্ষেপ নিন

আপডেট: মে ২৯, ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। ইতোমধ্যেই কর্মবিরতির তিনদিন অতিবাহিত হয়েছে। দেশের ৬৫ হাজার ৫৬৭টি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ এই কর্মবিরতি কর্মসূচির দাবির ডাক দিয়েছে।
ডশক্ষদেও তিন দাবি হলো- কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংশোধন করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ; ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূর করা এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করা এবং দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।
তিন দফা দাবিতে শিক্ষকরা ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এবং ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করেছেন। ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু হয়।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৫ জন, যা আগের ২ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার ২০১ জন থেকে কিছুটা কমেছে। অর্থাৎ এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী স্কুলের পাঠদান ধেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ এই বছর নানা কারণেই শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষণার্থীদের হাতে নতুন বই পেতেও বিলম্বিত হয়েছে। সামনে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া সময়। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শিক্ষার্থীদের জন্য ভাল কিছু নয়। বরং এই সময়েই শিক্ষার্থীরা বাড়তি যতেœর অধিকারি।
কর্মবিরতির দিনদিন অতিবাহিত হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি। শিক্ষকদের দাবির বিষয়টিও গুরুত্বেও দাবি রাখে। কর্মবিরতি যাতে আর প্রলম্বিত না হয় সে ব্যাপারে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিবে- সেটাই প্রত্যাশিত।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ