প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭ || চাই মানসম্মত শিক্ষার অঙ্গীকার

আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০১৭, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ

রোববার থেকে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৭’। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শেষ হবে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি। এবারের শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষার আলো জ্বালাবো, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব।’ বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন চলছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা দেশের সকল শিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেছেনন, প্রাথমিক শিক্ষা সামগ্রিক শিক্ষার ভিত্তি। তাই শিশুরা যাতে জীবনের শুরুতে সুন্দর পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সুষম ও টেকসই উন্নয়নে সুশিক্ষিত ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মমুখী দক্ষ জনশক্তির একান্ত প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, ‘সরকার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন, সুশিক্ষিত আগামী প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
বর্তমান সরকার শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে তা অনেক ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। শিক্ষা যে একটি সামাজিক আন্দোলনÑ সর্বস্তরের জনমনে সেই বোধ সৃষ্টিতে বতমান সরকার সাফল্য দেখিয়েছে। শিক্ষা যে মানব জীবনের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ তা আজ দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে উপলব্ধির জায়গায় পৌঁছে গেছে। হতদরিদ্র মানুষও এখন শিক্ষায় বিনিয়োগ করছে। এটি জাতীয় নেতৃত্বের বড় ধরনের সফলতা। কিন্তু তাই বলে এই পরিস্থিতিকে মোটেও যথেষ্ট বলা যায় না। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষায় প্রায় শতভাগ শিশুকে স্কুলগামী করতে পেরেছে এটা যেমন সাফল্য, তেমনি শিক্ষার গুণগত মানের প্রশ্নে অসম্পূর্ণতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। প্রাথমিক শিক্ষা যদি সামগ্রিক শিক্ষার ভিত্তি হয়Ñ তা হলে সেই ভিত্তি যে নড়বড়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাথমিকের ভিত্তি দুর্বলের কারণে অন্য ধাপের শিক্ষাও দুর্বল থেকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী অবকাঠামোর অভাব, শিক্ষক স্বল্পতা, মানসম্মত শিক্ষকের অভাব, উপকরণের অভাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা পরিবেশের অভাবকেই মূলত দায়ী করা হচ্ছে। এসব জায়গায় উন্নতি করাটাই এখনকার বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়Ñ শিক্ষক এবং শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের সে দায়িত্ব রয়েছে। দেশের মানুষের মধ্যে শিক্ষা-সম্পর্কটা এতই সজীব যে, সকল পক্ষের কর্তব্যনিষ্ঠা দেখাতে পারলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন কোনো কাজ নয়।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের যে অঙ্গীকার তা অর্জন করা সহজ হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ