শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
তসিকুল ইসলাম রাজা:
মানুষ পরপারে চলে যান-বিধির বিধান মতোই। থাকে শুধুই স্মৃতি। সে স্মৃতি মধুময় হতে পারে। আবার কষ্টদায়কও হতে পারে। প্রকৃত অর্থে বলা যায় ভালো ও মন্দ মিলিয়েই মানুষের জীবন। সেই জীবনে নাড়ির স্পন্দনের মতোই শিকড় সন্ধানী একজন সৎনীতিবান সুবিবেচক, আদর্শমন্ডিত জীবনের অধিকারী এবং স্বনামখ্যাত চিকিৎসক ও সমাজহিতৈষী প্রফেসর ডা. মামুন উর রশীদ মারাত্মক করোনায় আক্রান্ত হয়ে আজ (২১ অক্টোবর ২০২১) সকাল সাড়ে ছ’টায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উল্লেখ্য, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে বেশ ক’দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তিনি ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সাদা মাঠা, সহজ সরল, বন্ধবৎসল এবং পরোপকারী মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের তথা রাজশাহীর বিশেষত চিকিৎসা অঙ্গনে অনেক ক্ষতি হলো। সে ক্ষতি কিন্তু কোনোভাবেই পূরণ হবার নয়। তিনি সময় মতো প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করতেন। তাঁর খাবার-দাবার, চলা-ফেরা, উঠা-বসা এবং নানাবিধ কর্মপ্রয়াস ছিল বেশ রাজকীয় বিধিসম্মত, রুচিবান ও যুক্তিনিষ্ঠ। দায়িত্ব ও কর্তব্যপালনে তাঁর কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। তিনি যে কোনো কর্মে আত্মনিয়োগ করতেন এবং মানবকল্যাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতীয় অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম (১৯১১-১৯৮৯) সাহেবের জীবন ও দর্শনের আলোকে নিজেকে সর্বদাই বিকশিত করতেন। তাঁর জীবন, কর্ম ও সাধনা সমাজ জীবনে অনুকরণীয় ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিগণিত হবে বলে আমরা মনে করি। আমরা দৃঢ়চিত্তে বিশ্বাস করি, তিনি তাঁর কর্মগুণেই অমরত্ব লাভ করবেন। সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ও কর্মপ্রয়াস ছিল অত্যন্ত আনন্দদায়ক।
ডা. মামুন উর রশীদ ১৯৫৫ সালে নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কৃষি বিভাগে চাকরি করতেন। তিনি ১৯৭০ সালে নওগাঁ জেলার বিখ্যাত শিক্ষপ্রতিষ্ঠান কেডি হাইস্কুল থেকে এসএসসি ১৯৭২ সালে, রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৯ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপর তিনি লন্ডন থেকে মাস্টার্স করার পর দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে ইন সার্ভিস ট্রেনিং সমাপ্তির পর মেডিকেল অফিসার হিসেবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। তারপর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। একসময় তিনি এ বিভাগের প্রধান ও প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর উপাধ্যক্ষ হিসেবেও তিনি এ কলেজে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। এ কলেজ ছাড়াও তিনি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ ও খুলনা মেডিকেল কলেজে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রত্যেকটি কলেজে তিনি অত্যন্ত সুনাম ও আন্তরিকভাবে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
ডা. মামুন উর রশীদ বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ছাত্র-শিক্ষকের সঙ্গে অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে তাঁর ঐকান্তিক আগ্রহ ও স্নেহপ্রবণ মনটা সর্বদাই তৈরি থাকতো। এর ফলে, কলেজে বা অন্য প্রতিষ্ঠানের যে কোনো অনুষ্ঠানে তিনি চমৎকার উপস্থাপনাসহ সঙ্গীত পরিবেশন করে সবাইকে আনন্দে আত্মহারা করেছেন। তাঁর মনটা ছিল অত্যন্ত সহজ-সরল ও আন্তরিক। অন্যায়ভাবে তিনি কখনোই কোনো মানুষের মনে কোনো রকম কষ্ট বা বেদনা দেন নি। তবে কোনো অন্যায় বা বিধি-বিধান বহির্ভুত কোনো কাজের সঙ্গে কখনোই সংযুক্ত ছিলেন না। বিশেষ করে নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ হতো। কিন্তু তিনি তাঁর যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্য ও মহৎ কর্মপ্রয়াসের দ্বারা অনেক বড় বা শক্ত বিষয়ের সমাধান খুব সহজভাবেই করে ফেলতেন। এ কারণে তাঁর হাসিমুখের কথাগুলো আমরা সানন্দে গ্রহণ করতাম। তাঁর ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিগ্রাহ্য বক্তব্য ও কর্মপ্রয়াস সর্বমহলেই প্রশংসিত হতো।
তিনি খুলনা সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের পর রাজশাহীতে ফিরে আসেন এবং রাজশাহীর আমচত্বর সংলগ্ন ইসলামিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ফার্মাক্লোজি বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। আমৃত্যুই তিনি এই মহৎ কর্মের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন এবং অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে তিনি তাঁর উপর অর্পিত যাবতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন। তিনি ছিলেন সময়জ্ঞানসম্পন্ন একজন কৃতী মানুষ। প্রত্যেক দিনের কর্মসূচিতে তিনি যথাসময়ে উপস্থিত থাকতেন। সময় জ্ঞান তাঁর কর্মজীবনকে আরো বেশি আলোকিত করেছে। আরেকটি বিষয় হলো তিনি কখনোই কোনো অন্যায় কাজের সঙ্গে আপস করেন নি কিংবা আদর্শচ্যুত হননি। তিনি কখনোই কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হননি। আর এ জন্যই তাঁর সুনাম ও সততার কথা সর্বজনে বিদিত। আমরা কায়মনোবাক্যে তাঁর মৃত্যুর পর সৃষ্টিকর্তার দরবারে প্রার্থনা করি তিনি যেখানে থাকবেন সেখানে যেন-সুন্দর থাকেন, ভাল থাকেন, থাকেন পরম আনন্দে। তাঁর অমর আত্মার প্রতি আমরা বারবার প্রণতি জানাই।
প্রফসর ডা. মামুন উর রশীদ রাজশাহী ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংযুক্ত ছিলেন। তিনি একসময় যুগ্ম সম্পদকও ছিলেন। এ প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রাণপুরুষ ও নিঃস্বার্থ একজন সমাজহিতৈষী পরম শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান জিল্লু ভাই ও তৎকালীন সম্মানিত বিশিষ্ট সমাজ ভাবুক, গুণীজন ও মানবকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিত্ব সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ফজলুর রহমান আমাকে কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে সানন্দে গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানমালা উপস্থাপনা ও বার্ষিক পত্রিকা সম্পাদনাসহ নানামুখী কর্মকান্ডের সঙ্গে সংযুক্ত হই। মানবকল্যাণ তথা মানব সেবার ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা বিষয়ে বিশেষত সাধারণ মানুষ ও গরিব মানুষের সেবাদানের নিমিত্তে সর্বদাই নিজেকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্যজ্ঞান করি। বর্তমানে আমি এ প্রতিষ্ঠানের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
২০০৮ সালে আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণের পর প্রফেসর ডা. মামুন উর রশীদ এই প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এবং পরবর্তী পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে আমৃত্যু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজশাহী ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন ও হাসপাতারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। এ সঙ্গে বলবো, তাঁর হতেই ৪র্থ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ৩য় তলায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ হামিদুল্লাহ মাস্টার সাহেবের পুত্র-সন্তানের কাছ থেকে অর্থ আনয়নের ক্ষেত্রে আমাদের এ প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ফজলুর রহমানের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। এ ছাড়াও ভবনে একটি লিফট লাগানো হয়েছে। আমাদের এই হাসপাতালের একটি ডায়ালেসিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। আমাদের এই হাসপাতারের সামনেই একবারে রাস্তার ধারে একটি বাড়িসহ জমি ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আলহাজ্ব ইসাহাক আলীর নামে একটি মিলনায়তন নামকরণ করা হয়েছে। প্রবীণদের চিকিৎসাসেবাদানের ক্ষেত্রে সিইএসআই প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় একটি সেন্টারও চালু করা হয়েছে। প্রফেসর ডা. মামুন এখানে একটি আইসিইউ ওয়ার্ড নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য তিনি নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাঁর গঠনমূলক ও সৃজনশীল কর্মপ্রয়াস এবং যুক্তিনিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও পরিচিতি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। রাজশাহীর বাইরে থেকেও অনেক রোগি এখানে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য আসেন এবং এখানে ডাক্তার, নার্সসহ সবার সুন্দর ব্যবহার ও আচার-আচরণে মুগ্ধ হন। এজন্য রোগির সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
প্রফেসর ডা. মামুন উর রশীদ ও তাঁর জীবনসঙ্গিনী ডা. রুখশানা আখতার জাহান সর্বদাই পারিবারিক একটি কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনরাত অতিবাহিত করতেন। তাঁদের বুকের ভেতরে যেন প্রতিনিয়ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ২৭-২৮ বছরের একটি প্রতিবন্ধী পুত্রসন্তান বিছানায় শুয়ে আছেন। মুখে কোনো কথা নেই। শুধুমাত্র চোখ দিয়ে পানি ঝরে আর ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। এমন করুণ অবস্থার মধ্যে কোন পিতা-মাতা কতটুকু স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারবেন? তাঁর এই পুত্রের রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। তাঁদের বড়পুত্র বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ার এবং তার স্ত্রীও ইঞ্জিনিয়ার। তারা বর্তমানে আমেরিকাবাসী। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।
প্রফেসর ডা. মামুন উর রশীদ প্রতিদিন সংসার জীবনে যাবতীয় দায়িত্ব পালন শেষ করে প্রতিবন্ধী পুত্রের খাবার-দাবার ও অন্যান্য কাজ অত্যন্ত সুচারু ও সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন করে আমচত্বরের কাছে ইসলামি কলেজ ও হাসপাতালে যান এবং সেখানেও শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ যাবতীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ শেষে প্রতিদিন রাজশাহী ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন ও হাসপাতালে যথারীতি আসেন। তারপর এখান থেকে সোজা বাড়িতে যান। দুপুরের আহার গ্রহণ এবং একটু বিশ্রাম নিয়েই চলে যান তাঁদের রাজশাহী প্যাথলজি ডায়গনস্টিক সেন্টারে। সেখানে কাজ শেষে রাত ১০ টায় বাসায় যান। অসুস্থ সেই সন্তানের সঙ্গে কিছুক্ষণ থেকে রাতের খাবার এবং শয্যাগ্রহণ। এভাবেই তিনি কতো দিন, মাস-বছর পার করছেন তা বলা যাবে না।
প্রফেসর ডা. মামুন উর রশীদ রাজশাহী ডায়েবেটিক এসোসিয়েশন ও হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ভূমিদস্যুদের কবলে পড়েন। আমাদের সেই পুরাতন ভবনটি জেলা প্রশাসন রাজশাহী থেকে লিজ গ্রহণ করি। তারপর জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ও রাজশাহীর কতিপয় দানশীল ব্যক্তির অর্থায়নে ভবননির্মাণ করা হয়। সেখানে এখন আমাদের তত্ত্বাবধানে রাজশাহী নার্সিং ইনস্টিটিউট ও কলেজ চলছে। উল্লেখ্য, এই পুরাতন ভবনটি দখলের জন্য একজন ভূমিদস্যু জাল-দলিল ও বিভিন্ন কাগজপত্র সংগ্রহ করে এবং ভবন দখল করে তার মায়ের নামে ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়। সেই মারাত্মক সংকটকালে ঢাকায় থেকে আমাদের সভাপতি মহোদয় প্রফেসর ডা. এম ফজলুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ-ভূমিকা পালন করেন। সেই ভূমিদস্যু অস্ত্র নিয়ে প্রফেসর ডা. মামুন উর রশীদের সেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়। ডা. মামুন দৃঢ়কন্ঠে বলেন, ‘হ্যাঁ আমিতো এখন এখানে একা আছি। পারলে গুলি করো। তারপর সামলাতে পারবে তা?’ এ কথা শুনার পর সেই ভূমিদস্যু সেখান থেকে বিদায় হয়। আমাদের সহকারী পরিচালক মামুনকেও তারা থ্রেট করে এবং দুহাতের ১০ টি আঙ্গুল কেটে ফেলার হুমকি দেয়। সেই সংকট ও ভয়াবহ অবস্থায় আমি ড. রাজা ও জোয়ারদার ভাই তাঁর সঙ্গেই ছিলাম। এজন্য তিনি আমাদের খুব ভালোবাসতেন। শেষাবধি কোর্টে কেস চলছে এবং জেলা প্রশাসনও আমাদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করছে।
প্রফেসর ডা. মামুন উর রশীদ অস্ত্রের মুখেও কোনো রকম ভয় করেন নি। তাঁর এই সৎসাহসের জন্য অত্যন্ত দক্ষতার ও যোগ্যতার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা বিনম্রচিত্তে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যনির্বাহী পরিষদের সম্মানিত সভাপতিসহ কর্মকর্তাগণের মহানুভব দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা প্রত্যাশা করি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।