মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
তরুণ নির্মাতা শাহারিয়ার চয়নের জঙ্গি বিরোধী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ফানুস’ প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে নগরীতে পর্দা নামলো ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’র। গত সোমবার থেকে নগরীর জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে শুরু হওয়া তিনদিন ব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছিল রাজশাহী ফিল্ম সোসাইটি ও ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি রাজশাহী। চলচ্চিত্র উৎসবে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে’, চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসান কবীর লিটন নির্মিত উত্তরবঙ্গ থেকে নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘প্রত্যর্বতন’, চলচ্চিত্র নির্মাতা মাহমুদ হোসেন মাসুদের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলোর দেখা’, তরুণ নির্মাতা শাহারিয়ার চয়নের জঙ্গি বিরোধী স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ফানুস’ ও সহ মোট ১২টি জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার উৎসবের সমাপনী দিনে অতিথি ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষক ডা. সাজ্জাদ বকুল, নাট্যব্যক্তিত্ব কামার উল্লাহ সরকার, যমুনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক শিবলী নোমান, চলচ্চিত্র নির্মাতা আহসান কবীর লিটন। সভাপতিত্ব করেন, সাংস্কৃতিক কর্মী ডা. এফএমএ জাহিদ।
এ চলচ্চিত্র উৎসবে সেসব চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি অফিসিয়াল সিলেকশন পেয়েছে, সেই সব চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টরির নির্মাতাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেয়া হয়। সনদপত্র পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বাংলা ভাইয়ের উপরে নির্মিত ডকুমেন্টারির জন্য সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, ‘মুখোশ’ ডকুমেন্টারির জন্য ডকুমেন্টারি নির্মাতা শিবলী নোমান, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলের দেখা’র নির্মাতা মাহমুদ হোসেন মাসুদ, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ফানুস’র নির্মাতা শাহারিয়ার চয়ন, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘যদি সে জানতো’র নির্মাতা এমআই মুন্না, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মুখোশ’র নির্মাতা আরিফ হোসেন হৃদয় এবং ‘ইন দ্যা ডার্ক’র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সীমান্ত রাজন।
চলচ্চিত্র সমাজের মন্দ দিকগুলোকে যেমন মানুষের সামনে তুলে ধরেতে পারে ঠিক তেমনি ভাবেই ভালো দিকগুলোকেও তুলে ধরতে পারে। সেই জন্য চলচ্চিত্র সমাজের মানুষের মানুষিকতা পরিবর্তনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। এমনটায় মনে করছেন এ চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্র দেখতে আশা দর্শক ও অংশনেয়া নির্মাতারা।
চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্র দেখতে আসা এক শিক্ষার্থী অরণ্য অনু বলেন, ‘রাজশাহীতে এমন চলচ্চিত্র উৎসব হওয়াটা অনেক জরুরী। কারণ এখানে রাজশাহীর অনেক প্রতিভাবান তরুণ নির্মাতারা তাদের তাদের প্রতিভার বহির্প্রকাশ ঘটাতে পারে। যা তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। আর এর মাধ্যমে আমরা ভালো কিছু চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পাই।’ চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্র দেখতে আসা অন্য একজন দর্শক সারোয়ার বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সমাজ পরিবর্তনের অনেক বড় একটি হাতিয়ার হচ্ছে চলচ্চিত্র। যা দিয়ে সহজেই মানুষকে সচেতন করে তোলা সম্ভব। যেমনটা এ উৎসবে প্রদর্শিত জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্রগুলো অনেকের মনেই প্রভাব ফেলতে পরাবে।’
চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণকারী তরুণ নির্মাতা শাহারিয়ার চয়ন সোনার দেশকে এ চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কে বলেন, ‘রাজশাহীতে বর্তমানে আমরা যারা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি এবং ভবিষ্যতে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভাবছি তাদের জন্য এ ধরণের চলচ্চিত্র উৎসব আমাদের জন্য একটি বড় ধরনের প্লাটর্ফম। কারণ এখানে আমরা আমাদের কাজ প্রদর্শন করি আর সকলের কাছে থেকে কাজের গুণগত মান সম্পর্কে জানতে জানতে পারি। যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।’