শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
আমিনুল ইসলাম,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে পরে বিদেশে ইলিশ রপ্তানি হবে- এমন খবরে স্বস্তি মেলেছে কম আয়ের মানুষের। তাদের আশা ছিল সাধ্যের মধ্যে আসবে দাম, পাতে উঠবে সুস্বাদু এই মাছ। কিন্তু সেই আশা নিয়ে বাজারে গিয়ে দেখা যায় উল্টো চিত্র। একদিকে সরবরাহ কম, অন্যদিকে দামও নাগালের বাইরে। ফলে দাম শুনেই কপালে ভাঁজ পড়ছে ক্রেতাদের।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর বাজারে ইলিশ নিয়ে এসেছেন তিনজন বিক্রেতা। হাতে গোনা তাদের কাছে এক কেজি বা তার চেয়ে কম ওজনের কিছু ইলিশ দেখা গেছে। বাকি সব ছোট সাইজের। চাহিদার তুলনায় তাও কম। তাই দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। ছোট সাইজের (২০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে। ৪০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকা কেজি, ৮০০ গ্রাম সাইজের বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা কেজি আর এক কেজির কাছাকাছি ওজনের ইলিশের দাম ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত হাকছেন বিক্রেতা।
জহিরুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘গত বছর এই সময় ছোট সাইজের ইলিশের কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। বড় ইলিশ কেজি ছিল হাজারের মধ্যে। আর এখন যে দাম, এতে গরিবের পাতে ইলিশ উঠবে না।’
সাকিব রহমান নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, মেলাদিন থেকে ইলিশ খাইতে পারি না। বাজারে পাঙ্গাশ, চিংড়িসহ অন্যান্য মাছ ওঠে। কিন্তু ইলিশ পাই না। এখন যাও বা উঠেছে ; তাও দাম বেশি।’
খুচরা বাজার ঘুরে জানা যায়, নদ-নদীতে ক্ষুদ্র জেলেদের ধরা ইলিশ পাইকারদের মাধ্যমে হাত বদলে বাজারে ওঠে। বাজারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম নাগালের বাইরে- বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
পৌরবাজারের খুচরা ইলিশ মাছ বিক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, আমরা যে দামে কিনি, সীমিত লাভেই বিক্রি করি। কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা লাভ হয়। জেলেরা মাছ বেশি পেলে দাম কমবে যাবে। তখন আমরাও কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারব।
পৌরবাজারের আরে খুচরা মাছ ব্যাবসায়ী সমবারু ও মালেকের সাথে কথা হলে তারা জানায় ঘাটে মাছের সংকট থাকার কারনেই মোকাম গুলোতে কম মাছ আসছে। প্রয়োজন এর তুলনায় কম মাছ থাকায় বেশি দাম দিয়ে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।