ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ নারী ও শিশু নির্যাতিত

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪, ২:০৩ অপরাহ্ণ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) এর ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। যৌতুক ও পরকীয়ার কারণে অধিকাংশ নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেমঘটিত কারণে হত্যা-আত্মহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে।

বিষয়গুলো কারো জন্য সুখকর নয়। ফেব্রুয়ারি মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র- তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির দুবাইল সাহাপুর গ্রামে আলেয়া (৪০) নামে এক নারী তার শয়ন কক্ষে তীরের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, নগরীতে এক নারী ধর্ষণের শিকার, নগরীর বেতপট্টি থেকে একজন নারীকে অপহরণের চেষ্টা, বাঘায় মালেকা খাতুন (৬০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার, তানোরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এক কিশোরী, দুর্গাপুরে কবিতা খাতুন (১৫) নামে ৯ম শ্রেণিতে পড়া এক স্কুল ছাত্রীকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পেটালেন শিক্ষক, নগরীতে গলায় ফাঁস দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা, বাঘায় স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে, নগরীতে মানসিক ভারসাম্যহীন নাভিদ ইসলাম (১৫) নামে এক কিশোরের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার হাজী মুহাম্মদ মহাসিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে, রাজশাহীতে মেডিকেল হাসপাতালে নবজাতক ছেলে শিশু কে ফেলে পালিয়ে যায় মা-বাবা।

ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক। লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য সুখক নয়। রাজশাহী অঞ্চলে নারী – শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন নগরীকে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অভিভবাকদের নিজ সস্তানদের প্রতি দৃষ্টি দেওযায় আহবান জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ