সোনার দেশ ডেস্ক :বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপিসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ জনকে ফেরৎ পাঠানো হয়েছে।
পালিয়ে আসার ১২ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে তাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ইউ অং ক্যও মোয়েসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৩৩০ জনকে গ্রহণ করতে মিয়ানমারের বিজিপির ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সকালে উখিয়ার ইনানীতে নৌবাহিনীর জেটিঘাটে পৌঁছায়। এরপর তারা বিজিবির রামু সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবীরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। দু’দেশের এ প্রতিনিধিরা সকাল ১০:৩০ টায় হস্তান্তর বিষয়ক বৈঠকে মিলিত হন।
বিজিবি জানায়, ওই ৩৩০ জনকে নিতে মিয়ানমারের একটি জাহাজ গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের জলসীমায় আসে। ইনানী জেটিঘাট থেকে তাদের কর্ণফুলী জাহাজে করে মিয়ানমারের ওই জাহাজে পৌঁছানো হবে।
মিয়ানমারে জান্তার অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির চলমান সংঘর্ষে প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে কয়েক দফায় পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৩৩০ জন। তাদের রাখা হয় টেকনাফের হ্নীলা হাইস্কুল ও ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানে থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাদের বিজিবির কড়া নিরাপত্তায় ইনানী জেটিঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
আশ্রিত ৩৩০ জনের মধ্যে বিজিপির ৩০২ জন, বিজিপি সদস্যের পরিবারের ৪জন, সেনাবাহিনীর দু’জন, ইমিগ্রেশন বিভাগের ১৮ জন এবং বেসামরিক নাগরিক ৪জন রয়েছেন।
আশ্রিতদের মধ্যে ৯ জন অসুস্থ ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৪ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ