শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা বউবাজার। বউবাজারের নাম তো শুনেছেন। কিন্ত বউ কেনা-বেচা বা ভাড়া দেওয়া হয় এমন বাজারের কথা শুনেছেন কি? অবাক হলেও বউ অর্থাৎ নারী কেনা-বেচা সহ ভাড়া দেওয়া হয়, এমন বাজারের অস্তিত্ব এই একবিংশ শতাব্দীতেও আছে। এবং তা রয়েছে এই ভারতেই।
মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী গ্রাম। জানা যায়, এখানে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, স্ত্রী ভাড়া নেওয়াটা নাকি প্রথা। এখানে নারীকে পণ্যের সমতুল্য করে ‘কেনা’ এবং ‘বিক্রি’ করা হয়। বর্তমানে নারী নিরাপত্তা, নারী স্বাধীনতা এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে রাজ্য দেশ সহ সারা বিশ্বের তোলপাড় চলছে। সেইসময় দাঁড়িয়েও এই ঘৃণ্য প্রথা নিয়ে কোনও তাপ-উত্তাপ-অনুতাপ কিছুই নেই শিবপুরী গ্রামের বাসিন্দাদের। কারণ এই নিন্দনীয় রেওয়াজ তথা দাধিচা প্রথা তাদের সমাজে দীর্ঘদিনের। তাই তা নিয়ে আলাদা করে মাথাব্যথা তাদের নেই।
সূত্রের খবর, এই প্রথা অনুযায়ী এই গ্রামে দরিদ্র পরিবারের নারীদের রীতিমতো খোলা বাজারে নিলামে তোলা হয়। নারী ভাড়া নিতে দূরদূরান্ত থেকে সেই বাজারে আসেন আর্থিকভাবে সচ্ছল পুরুষরা। বাজার থেকে পছন্দমতো নারীদের চড়া দামে ভাড়া নেওয়া হয়। ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে করা হয় চুক্তিও। এক বছর বা তার বেশি সময়ের চুক্তি মোতাবেক নারী ভাড়া করে বাড়ি নিয়ে যান পুরুষরা। ইচ্ছা হলে চুক্তি নবীকরণও করতে পারেন ক্রেতা। আবার আসক্তি মিটে গেলে নতুন চুক্তি করে ঘরে নতুন স্ত্রী নিয়ে আসার স্বাধীনতাও রয়েছে পুরুষদের।
জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু হয় নারীর দাম। নারী ভাড়া নেওয়া বা কেনার দাম ছাড়িয়ে যায় লক্ষ টাকার গণ্ডিও। সূত্রের খবর, সবথেকে বেশি দামে বিক্রি করা হয় কুমারী নারীদের। বর্তমানে প্রশাসন থেকে শিল্পী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট সমাজের সর্বস্তরের কর্মক্ষেত্রে নারীদের অবাধ বিচরণ। নারীরা আত্মনির্ভর।
সেখানে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী গ্রামে বিনা বাধায় রমরম করে চলছে এই কদর্য দাধিচা প্রথা। ধনী পুরুষদের আর্থিক ক্ষমতা রয়েছে বলেই তারা নারী ভাড়া করছেন। তাই এই নিন্দনীয় প্রথা নিয়ে কিছুই বলার নেই সমাজের। সবকিছু দেখেশুনেও গোটা বিষয়টি থেকে গা বাঁচিয়ে চলাটাই শ্রেয় বলে মেনে নিয়েছে প্রশাসন। তাই এই দাধিচা প্রথায় দিনের পর দিন বলি হচ্ছেন শিবপুরীর গরিব নারীরা!
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন