মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
বগুড়া প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তাদের নাম এখন বি তে বাংলাদেশ, এন তে নালিশ ও পি তে পার্টি। তারা ঘরে বসে বিবৃতি দেয় আর বিদেশিসহ বিভিন্ন জনের কাছে নালিশ করে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। নিরপেক্ষ লোকরাই কমিটিতে আছেন। একজন সাহিত্যিক কমিটিতে আছেন। তিনি ছাত্রলীগও করতেন না। ওখানে আওয়ামী লীগের কেউ নেই। সার্চ কমিটির বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানোর প্রয়োজন নেই। বিএনপির কথায় বিদেশিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে বসতে হবে? আমরা কী মেরুদ-হীন জাতি? ওসব দিন চলে গেছে। আমাদের দেশে নীতি নির্ধারণ আমরাই করবো।
তিনি বলেন, কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। সামনে নির্বাচন, দুবছর সময় হাতে উন্নয়ন যা বাকী রয়েছে তা করবো।
নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জমিদারী ভাব দেখাবেন না। নেতার সাথে কর্মীর, কর্মীর সাথে জনতার সেতু তৈরী করতে হবে। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। দলের মধ্যে দলবাজি করার জন্য খারাপ লোকদের আশ্রয় দেবেন না। দল ক্ষমতায় না থাকলে ওরা বসন্তের কোকিলের মতো উড়ে যাবে। জোর করে ভোট পাওয়া যাবে না, জনগণের চাহিদা মতো কাজ করতে হবে। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা বুঝে কাজ করতে হবে। তায় বসাবে আমরা তা বিশ্বাস করি না। আমাদের ভোট দিয়ে বানাবে বাংলার মানুষ, কোন বিদেশি নয়।
বগুড়ার উন্নয়ন ব্যাপারে তিনি বলেন, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে ফোর লেন রাস্তা আসছে, বগুড়া হয়ে রংপুর পর্যন্ত যাবে। খরচ ধরা হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। তারপর পঞ্চগড় ও বুড়িমারী পর্যন্ত হবে। বগুড়াকে জিয়া, খালেদা, তারেকের ঘাটি বলা হতো। আওয়ামী লীগের সাংষদ এখানে কম। ভোটও কম, যেখানে ভোট কম, সেখানে উন্নয়ন বেশি হবে। বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, তখন যে কাজ করেছে, তার চেয়ে একশত গুণ কাজ করা উচিত ছিল। তারা বগুড়াবাসীর সাথে বেঈমানী করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বগুড়াবাসীর জন্য কাজ করেছে। অপেক্ষা করুন, বিমানবন্দরও করবো। পর্যায়ক্রমে সবই হবে।
সভায় আ’লীগের যুগ্মসম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সাঁচ কমিটিতে দুদু, রিপন, আমানকে নিয়ে করলে মনেরমত হতো বিএনপির। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যেখানে যেখানে কমিটি হয় নি, সেখানে কমিটি করতে হবে। প্রয়োজনে আমরাও যাব। এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে হলেও। আমাদের সাংগঠনিক কোয়ালিটি বেড়েছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে এখন অনেক সমৃদ্ধ।
কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ বিএম মোজাম্মেল হক, খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় সদস্য মীর্জা আজম, মাহমুদ হাসান রিপন, এসএম জাকির হোসেন, সাংসদ হাবিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আছাদুর রহমান দুলু, খাদিজা খাতুন, সাজেদুর রহমান শাহীন প্রমুখ।
কর্মী সভা ডাকা হলেও পুরো আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ জনতায় পরিপূর্ণ হয়ে জনসভায় রুপান্তরিত হয়।