বগুড়ায় কিশোরী ধর্ষণ মামলা তুফানসহ স্ত্রী- শ্বাশুড়ী ফের রিমান্ডে

আপডেট: আগস্ট ৩, ২০১৭, ১:১৮ পূর্বাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি


বগুড়ায় বহুল আলোচিত কিশোরীকে ধর্ষণের পরে নির্যাতন করে মা ও মেয়েকে ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা ও শ্বাশুড়ী রুমি খাতুন ও সহযোগি মুন্নাকে আবারো রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও আদালতে নাপিত জীবন কুমার রবিদাস ও আসামি দিপুর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম স্ন্দুর রায় প্রধান আসামি তুফান সরকার ও মুন্নার ২দিন, তুফানের স্ত্রী আশা ও শ্বাশুড়ি রুমি খাতুনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়াও জীবন রবি দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রথম দফা রিমান্ডে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার কারণেই চার জনকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল ধর্ষণের মামলায় তুফানকে তিন দিন ও নির্যাতনের মামলায় তুফানের স্ত্রী আশা সরকার ও শাশুড়ি রুমি বেগমকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয়। এদিন আসামিদের নতুন করে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। তবে আদালত তুফান ও মুন্নাকে দুইদিন এবং আশা ও রুমিকে একদিন করে রিমান্ড দেন।
গত ১৭ জুলাই ভালো কলেজে ভর্তি করার প্রলোভনে এসএসসি পাশ করা কিশোরীকে ডেকে এনে জোর করে ধর্ষণ করে তুফান সরকার। এরপর ২৮ জুলাই মা-মেয়েকে ডেকে এনে নির্যাতনের পর চুল কেটে ন্যাড়া করার ঘটনায় তুফান সরকারসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা, শ্বাশুড়ী রুমি খাতুন তুফানের স্ত্রীর বোন কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আসামি শিমুল ছাড়া সবাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও চুল কাটার সহযোগীতার জন্য নাপিত জীবন রবিদাস ও সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তুফানের শ্বশুর রুনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।