বগুড়ায় ধর্ষণ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া শ্রমিকলীগ নেতা বহিষ্কার, তিন দিনের রিমান্ড

আপডেট: জুলাই ৩১, ২০১৭, ১:২৬ পূর্বাহ্ণ

বগুড়া প্রতিনিধি


বগুড়ায় কিশোরী ধর্ষণ, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় ওই কিশোরী ও তার মা’কে শারীরিক নির্যাতনের পর ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ জনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে। এদিকে, ধর্ষণ ঘটনার কারণে তুফান সরকারকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।
রোববার সকালে ওই কিশোরী ও তার মাকে দেখতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান বগুড়ার জেলা প্রশাসক। বগুড়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ্দ নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, ধর্ষিতার চিকিৎসা ও লেখাপড়ার দায়িত্ব সরকার নেবে । কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি জনপ্রতিনিধি হওয়ায় এ বিষয়ে তার সম্পৃক্ততা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বগুড়া এডিসি জেনারেল আবদুুস সামাদকে। কমিটির অন্য দুইজন সদস্য হলেন বগুড়ার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম এবং বগুড়া জেলা সমাজ সেবা অফিসার শহিদুল ইসলাম।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তুফান সরকার দীপু ও রুপমকে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আতিক স্বীকারোক্তি দেওয়ায় তার রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। বগুড়া জেলা শ্রমিকলীগেরে সাধারণ সস্পাদক সামছ উদ্দিন শেখ হেলাল জানান, তুফান সরকারকে আজ শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।
এদিকে ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলার অপর ৬ আসামি তুফান সরকারের স্ত্রী আশা আকতার, আশা আকতারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি ও তুফানের শ্বাশুড়ী রুমি খাতুনসহ অপর তিন জন এজাহার নামীয় আসামি এখনও অধরা রয়েছেন। তাদের ধরার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন ।
শুক্রবার রাতে বগুড়া সদর থানার পুলিশ কিশোরী ধর্ষণ ও মা মেয়েকে মারপিটের পর চুল কেটে নেড়ে করে দেওয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি তুফান সরকারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।