শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় নির্যাতনের শিকার মা-মেয়েকে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর নির্যাতিত ওই কিশোরীকে পবা উপজেলার বায়ায় সরকারি সেইফ হোমে রাখা হয়েছে। আর তার মাকে রাখা হয়েছে নগরীর আরেকটি সরকারি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে।
সেইফ হোমের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট রোখসানা খাতুন জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসলাম সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্যাতিত ওই কিশোরীকে সেইফ হোমে আনা হয়। সে এখন থেকে এখানেই থাকবে।
এদিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, ওই কিশোরীর মাকে নগরীর শাহমখদুম থানা চত্বরে অবস্থিত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। বাইরে নিরাপদ মনে না করা পর্যন্ত তিনি এখানেই থাকবেন। মামলার প্রয়োজনে তাদের বগুড়া নিতে হলে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়েই নিয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, আদালতের সিদ্ধান্তেই মা-মেয়েকে আলাদা রাখা হয়েছে। তবে তাদের ভালো থাকার জায়গা ও উন্নত খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজন হলে তাদের উন্নত চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে সোমবার দুপুরে বগুড়ার শিশু আদালতের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইমদাদুল হক মেয়েকে রাজশাহীর সেইফ হোম এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ তাদের নিজস্ব গাড়িতে করেই রাজশাহী নিয়ে আসে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই কলেজে ভর্তির বিষয়ে সাহায্যের নাম করে বগুড়া শ্রমিক লীগের নেতা তুফান সরকার ভিকটিমকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠেন। পরে এ ঘটনার বিচারের নামে মা-মেয়েকে ডাকা হন। সেখানে ওই ঘটনার জন্য উল্টো মা-মেয়ের ওপরেই দোষ চাপানো হয়।
এ সময় তাদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ সব আসামিকেই গ্রেপ্তার করে।