মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
আজ ১ মার্চ, শুরু হলো স্বাধীনতার মাস। বাঙালির হাজার বছরের পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার সংগ্রামের মাস। উপনিবেশিক ও বিদেশিদের শাসনের বেড়াজালে আবদ্ধ থেকেও বরাবরই বাঙালিরা লড়েছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। ১৯৫৭ সালে বৃটিশ উপনিবেশিক শাসন শুরু হয় তার আগে যে রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বাংলা শাসিত হতো ওই রাজতান্ত্রিক শাসনযন্ত্রে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব তেমন ভাবে ছিল না। বৃটিশরা ১৯৫৭ সালে বাংলাদেশ শাসন শুরু করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে। প্রখ্যাত লেখক সত্যেন সেনের মহা বিদ্রোহ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে একজন ইংরেজ সৈন্যের বেতন ছিল ৪০ টাকা আর এ দেশিয় যারা সেনাবাহিনীতে সৈন্য হিসাবে চাকরি করতেন তারা বেতন পেতেন মাত্র ছয় টাকা। এই ব্যবস্থা কতদিন আগে থেকে চলছিল তা জানা নেই। তবে ইংরেজ শাসনের সাত বছরের মাথায় বিষয়টি নিয়েও বাঙালি সৈন্যদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তারা বিদ্রোহ করে সমবেতনের দাবিতে। সদ্য বৃটিশ উপনিবেশিক শাসনের ভিত কেঁপে উঠে। তরুণ বাঙালি সেনারা বিষয়টি নিয়ে আপোস করতে নারাজ, ওই সময় তাদের দাবি ছিল একটাই- সমশ্রমে সমপারিশ্রমিক। কিন্তু বৃটিশ রাজ তা দিতে নারাজ। এই বিদ্রোহ দমনে বৃটিশদের গলদঘর্ম পরিশ্রম করতে হয়। বৃটিশরা ২৪ জন বাঙালি সেনাকে চিহ্নিত করে বন্দি করে। ২৪ বিদ্রোহীকে প্রকাশ্যে কামানের তোপের মুখে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৭৬৪ সালে ইস্ট ইন্ডিয়ার শাসনামলে বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালিরা প্রতিবাদ জানিয়ে প্রাণ দেয়। বাঙালিরা বরাবরই এ ধরনের অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। পৃথিবীর বহুদেশ আছে যারা উপনিবেশিক শাসনে দীর্ঘদিন শাসিত হওয়ার পর দেখা গেছে, নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছে। বাঙালিরা দীর্ঘদিন বিদেশি শাসনে থেকেও স্বকীয়তাকে অটুট রেখেছে। ১৭৬৪ সালের এই বিদ্রোহের পর থেকে বাঙালিরা বৈষমের বেড়াজাল ভাঙ্গার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ১৯৫৭ সালের সিপাই বিদ্রোহে বাঙালি সেনা মঙ্গল পা-ের বীরত্ব গাথা সারা উপমহাদেশময় স্মরণীয় থাকবে চিরকাল। মঙ্গল পা-ে কর্তৃক বিদ্রোহকে সিপাই বিদ্রোহের সূতিকাগারও বলা যায়। বৈষম বিলোপ ও স্বাধীনতার জন্য সিপাই বিদ্রোহ, বাংলা ভূখ-ের সাওতাল বিদ্রোহ, কৃষক আন্দোলনসহ নানা ধরেনের আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। এই আন্দোলনগুলি বাঙালি সমাজে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে, বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার পথে অগ্রসর করে। ১৯৪৭ সালে তথাকথিত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া উপমহাদেশ যে দ্বিখ-িত হয়েছিল, তাতে বাংলাদেশ আবার নতুন এক পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ হয়। ওই সময়ে সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজালে বাঙালি সংস্কৃতিকে আবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চলে। তৎকালীন শাসক শ্রেণি সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়িয়ে পাকিস্তানিরা শোষণ প্রক্রিয়ার ভিতটা স্থায়ী করতে চেয়েছিল। সাধারণ বাঙালিরা চিরকালই অসাম্প্রদায়িক। ১৯৪৭ সালের পরবর্তী সময়ে তৎকালীন শাসক শ্রেণি কর্তৃক সৃষ্ট সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সাধারণ বাঙালিরা আন্দোলন গড়ে তোলে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভক্ত হওয়া উপমহাদেশের পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক অসন্তোষ নিরসনকল্পে অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতি শুরু করেন। মূলত বাঙালিদের জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। বাঙালিরা ১৯৪৭ পরবর্তী সময়ে তৎকালীন শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে অনেকগুলো আন্দোলন করে। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল বৈষম্য বিলোপ এবং বাঙালির মুক্তির। আর এই আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বহু বাঙালি প্রাণ হারায়। জোতদার জমিদারদের বিরুদ্ধে ১৯৫০ সালের কৃষকদের তেভাগা আন্দোলন। সারা দেশে বাঙালি কয়েদি নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে বন্দিরা আন্দোলন গড়ে তুলেন। খাপড়া ওয়ার্ডে শাসক শ্রেণির গুলিতে বন্দিরা প্রাণ হারায়। ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সূচিত হয় পাকিস্তানি শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলনের রূপরেখা। ভাষা আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল ১৯৪৮ সাল থেকে, কারণ পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে উর্দুভাষীদের কায়েমী স্বার্থ অন্তর্নিহিত ছিল। উর্দুভাষী সংখ্যলঘুরা ইংরেজদের ন্যায় এদেশের সকল অর্থনৈতিক কর্মকা- নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির পরিবর্তে উর্দু সংস্কৃতি চালু করার প্রচেষ্টা চালায়। সেই সময় শাসক শ্রেণি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ঘোষণা দেয়। তৎকালীন বাঙালি লেখক এবং বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিকরা সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করে। পাকিস্তানি শাসকচক্র শোষণ প্রক্রিয়ার ধারা অব্যহত রাখার জন্য নানাভাবে তাদের কৌশল পাল্টায়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) সকল রাজনৈতিক দল সম্মিলিতভাবে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে বিজয়ী হয়। বিজয়ী যুক্তফ্রন্ট পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশে সরকার গঠন করে। স্বল্পদিন এই সরকার স্থায়ী হয়। পাকিস্তানের শাসক শ্রেণি প্রাদেশিক সরকারকে ভেঙ্গে দেয়। প্রাদেশিক সরকার ভেঙ্গে দেয়ার পরও সম্মিলিত আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে উঠেনি। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির সনদ ছয়দফা ঘোষিত হয় ১৯৬৬ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি। পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঘোষিত ছয় দফা বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে। পাকিস্তানের শাসক শ্রেণির বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দালনের রূপরেখার সূচনা করে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা। ছয় দফা বাংলাদেশের মানুষের কাছে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ হিসাবে বিবেচিত হয়। সকল আন্দোলনের গতিধারা এসে মিলিত হয় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ঘোষিত ছয় দফার আন্দোলনে। বঙ্গবন্ধুর অপসহীন নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা এবং মুক্তির পথের সন্ধানে আন্দোলন বেগবান করে তুলে। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি ও স্বাধীন আবাসস্থলের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। কারণ ছয় দফায় শুধু স্বায়ত্তশাসন বা এই প্রদেশের মানুষের ভোটের অধিকারের ক্ষমতার কথা বলা হয়নি, ছয় দফা মূল লক্ষ ছিল এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ছয় দফা পাকিস্তানের তৎকালীন শাসক গোষ্ঠি মানবে না এটাই ছিল স্বাভাবিক। এটা প্রমাণ হয় যে, বঙ্গবন্ধু ছয় দফা পেশ করেছিলেন এদেশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের শোষিত মানুষের কাছে একটি মুক্তির সনদ হিসাবে পরিচিতি পায়। বঙ্গবন্ধু এই ছয়দফার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেন। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছয়দফা ঘোষণার পর এ বছরটির প্রথম তিন মাস অর্থাৎ মে মাস পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আট বার গ্রেফতার হন। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে সারাদেশে হরতাল পালিত হয় । পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা যায়। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠে। ১৯৬৬ থেকে ৭০ অসংখ্য বার বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি শাসকেরা গ্রেফতার করে এবং নানা কৌশলে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে অবদমনের প্রচেষ্টা চালায় কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তনের একক রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭০ সালের ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে ছয় দফার প্রশ্নে নির্বাচিত করার জন্য দেশবাসীকে আহবান জানান। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে নির্বাচিত হয়। বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার লক্ষে সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পতাকার তলে সমবেত করেন। বাংলাদেশের হাজার বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এর আগে কোন বাঙালি নেতা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি এবং স্বাধীনতার লক্ষে এ রকম আন্দোলনের ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারেনিÑ যা করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও নৈতিক দৃঢ়তার মাধ্যমে বাংলা জনপদের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই বিজয় পাকিস্তানি শাসকেরা মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর বিজয়কে নস্যাৎ করতে পাকিস্তানিরা তাদের পূর্ব পাকিস্তানে থাকা দোসর এবং আন্তর্জাতিক চক্রের সহযোগিতায় চক্রান্ত শুরু করে। মুক্তিপাগল বাঙালিরা তখন শুধু বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনার অপেক্ষায়। বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝতে পেরেছিলেন কীভাবে পাকিস্তানি শাসকদের প্রতিহত করতে হবে। তাই তিনি সকল প্রকার প্রস্ততি সম্পন্ন করে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে দৃপ্তকণ্ঠে লাখো জনতার সমাবেশে হাজার বছরের বাঙালির মুক্তির সনদটি ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের কী কৌশল হবে তার পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু আগেই করে রেখেছিলেন। তাই তিনি দৃপ্তকণ্ঠে লাখো মানুষের ময়দানে স্বাধীন বাংলার কথা ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন সময়ের এদেশের সামরিক বেসামরিক বড় আমলা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মচারীদের মাঝ থেকে অনেকেই অংশগ্রহণ করেছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের কৌশল বা পরিকল্পনা সম্পর্কে তারা কেউ জানত না। বাংলা জনপদের সমগ্র আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাসকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একমাত্র নেতা হলেন বঙ্গবন্ধু যিনি মুক্তি এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে সমগ্র মানুষকে সংগঠিত করতে পেরেছিলেন এবং তার নেতৃত্বে হাজার বছরের পরাধীনতার শিকলটি ভেঙ্গে দেশটি স্বাধীন হয়েছিল। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, স্বাধীনতার কারিগর বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। সামরিক আমলাকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে আখ্যায়িত করার একটি অপচেষ্টা চলে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক আমলা সম্প্রতি একটি বির্তকিত বই লেখেন। এতে প্রতীয়মান হয়ে যায়, আসলে এরা মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানত না। তবে এটা বুঝতে পরেছিল যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।
টেক্সাসে বসবাসরত প্রবাসী একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের নথি সংগ্রাহক মাহাবুবুর রহমান জালালের গবেষণার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বিভিন্ন সূত্র ও দলিল থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী এই প্রমাণ হয় যে, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যা ছিল তার হয়ে অন্য কারো ঘোষণা দেয়ার অনেক পূর্বে। ২৫ মার্চ মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক ভেঙ্গে গেলে ইয়াহিয়া গোপনে ইসলামাবাদে ফিরে যান। পাকিস্তানি সৈন্যরা গণহত্যা চালানোর সময় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কিন্তু বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। মূল ঘোষণার অনুবাদ নি¤œরূপÑ
“এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহবান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটি উৎখাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।”
বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এটাই প্রমাণ হয় যে, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার একমাত্র কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লেখক:- কলামিস্ট