শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লিফশুলজ-এর ভাষ্য মতে, সেই রাতে ডিনারের আগে এবং পরে দীর্ঘ সময় ধরে চেরি-জিয়ার মাঝে নিমন্ত্রণকর্তার বাসার বাগানে বসে আলাদাভাবে কথোপকথন চলে। ওই সময়ে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু কী হতে পারে তা নিশ্চয়ই একজন সচেতন মানুষের বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। কারণ, জিয়া-চেরির সেই ডিনার কোনো সামাজিকতা সৌজন্যতামূলক সাক্ষাৎ ছিল না। চেরি ভালো করেই বুঝেছিলেন যে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে হলে জিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। লিফশুলজ তার অনুসন্ধানের ভিত্তিতে মন্তব্য করেন যে, প্রমাণ ক্রমবর্ধমানভাবে এই ইঙ্গিত দেয় যে জিয়া অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান স্থপতি ছিলেন এবং খোন্দকার মোশতাক আহমেদের চেয়ে অনেক বেশি ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
সোজা কথায়, হাজার হাজার মাইলের পথ দূর থেকে কিসিঞ্জার-ভুট্টো আর ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদূত বোস্টার এবং সিআইএ স্টেশন চিফ ফিলিপ চেরি মুজিব হত্যাকাণ্ড সরাসরি তদারকি করেছেন। এদের সহায়তায় কৌশলে পেছন থেকে মূল ভূমিকাটা পালন করে গিয়েছিলেন জেনারেল জিয়া। তিনি বিরোধিতা করলে এই অভ্যুত্থান ঘটানো সম্ভবই ছিল না কোনোদিন। তা না করে উলটো তিনি অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া অফিসারদের বিভিন্ন সময়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। প্রকাশ্যে কিছু না করলেও মূলত তিনিই ছিলেন নাটের গুরু। তদুপরি, বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণও এটা নির্দেশ করে যে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ‘নতুন গীত’ নয়। এটা বহু আগে থেকেই দালিলিকভাবে প্রমাণিত।