বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্রের অন্তরালে

আপডেট: আগস্ট ৬, ২০১৭, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বাঙালির জাতীয় জীবনে একটি কলঙ্কময় দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর পরিবারের সতের জন সদস্য এই দিন ঘাতকদের খাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন। তাঁর দশ বছরের শিশু সন্তান রাসেলও খুনীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। বাংলাদেশের আজকের প্রজন্মের অনেকের কাছে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও আদর্শ সম্পর্কিত সঠিক ইতিহাস জানা নেই। মিথ্যা আর ভুল তথ্য দিয়ে তাঁদের পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ব্যপ্তি ছিল পাহাড়সম। তাই ছোট্ট পরিসরে তাঁর জীবন ও কর্মের মূল্যায়স সম্ভব নয়। এই প্রবন্ধে মূলত: বিভিন্ন লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক কর্তৃক বর্ণিত তথ্য-উপাত্তের আলোকে মুজিব হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হয়েছে।
বিশ্বের ইতিহাসে বাংলাদেশের অভ্যুদয় একটি যুগান্তকারী ঘটনা। ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসন-শোষণ, নিপীড়ণ-নির্যাতন এবং নয়মাসের বিভীষিকাময় রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের কথা কখনো ভুলবে না বাঙালি জাতি। বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম দেশপ্রেম ও সংগ্রামি চেতনায় উদ্বুদ্ধ বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। তাঁর শাণিত চিন্তা-চেতনাকে সামনে রেখে সামনে এগুচ্ছিলেন বাংলাদেশ।
ইতিহাস পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত চিন্তা-চেতনায় কাঙ্খিত রাষ্ট্র ও জাতিগঠন প্রক্রিয়া বারংবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার মূল কারণ হচ্ছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। দেশী-বিদেশি চক্রান্ত্রের কারণে তিনি লক্ষ অর্জনে পুরোপুরি সফল না হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার, মাত্র দশ মাসে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে ছয় মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দেড় বছরের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের নেতৃত্বে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ সত্যিই প্রশংসনীয়।
তাছাড়া, বিধ্বস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠা, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবহন ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন এবং খাদ্য সংকট উত্তরণে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। সামাজিক বিশৃংখলা ও ভঙ্গুর অর্থনীতির পুন:র্গঠনে তাঁর অবদান ছিল অনন্য-অসাধারণ। কিন্তু থেমে থাকেনি পরাজিত শক্তি স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রীমহলের ষড়যন্ত্র। তারা অতি সুকৌশলে নানাবিধ অপকর্ম শুরু করে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ