শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি :
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক থামিয়ে মারপিট করে চারটি গরু লুট করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনা উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ট্রাক চালক আবদুল আলীম (৩২) পাবনার চাটমোহর উপজেলা মধুরাপুর গ্রামের মোতাহার আলীর ছেলে ও হেলাপার স্বাধীন হোসেন (২০) একই উপজেলার আনকুটিয়া গ্রামের আবদুল মান্নান শিকদারের ছেলে।
ছিনতাইকারীদের পিটুনিতে আহত হন গরু ব্যবসায়ী দবির উদ্দিন (৫৬)। তিনি পাবনার ইশ্বরদী উপজেলা সারিকাজি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। দবির উদ্দিন বলেন, তিনি উপজেলার রাজাপুর বাজার এলাকার শাজাহান কবির সাজুর চারটি গরু কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।
পথে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে উপজেলার মাঝগাঁও ইউপি কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার পর একটি ট্রাক সামনে আসে। তখন তাঁদের গরুর ট্রাক নিচের রাস্তায় নামিয়ে দেয়। তারপর তাঁদের ট্রাক থেকে চারটি গরুই ডাকাত দল নিজেদের উঠিয়ে নেয়। তিনি আরও বলেন, ডাকাতদের বাধা দিলে তারা তাঁর চোখে শুকনা মরিচের গুঁড়া দিয়ে মারপিট শুরু করে।
এরপর তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে ট্রাক নিয়ে চলে গেলে তিনি বাঁধন খুলে পাশের বাড়িতে যান। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তিনি দাবী করেন, ট্রাক থামিয়ে চালক-হেলপার দূরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। আমি বিশ^াস করি তাঁরা দু’জন ওই ঘটনার সাথে জড়িত।
গরুর মালিক শাজাহান কবির সাজু বলেন, ‘কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চারটি গরু ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। চাটমোহরের চৌধুরীপাড়া এলাকার হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিমুদ্দিনের ট্রাকে করে শনিবার রাতে ঢাকায় গরু বিক্রি করার জন্য পাঠিয়েছিলাম। আমার ধারণা ট্রাকের চালক-হেলপার এ ঘটানার সাথে জড়িত। তাদেরকে ভালো করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গরু উদ্ধার করা যাবে।’
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শাফিউল আযম বলেন, আটক ট্রাক চালক-হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে। লুট হওয়া গরু উদ্ধারে অভিযান চলছে। দ্রুততম সময়ে খোয়া যাওয়া গরু উদ্ধার করতে করা সম্ভব হবে।