শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
বদলগাছী প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক গৃহবধূকে পথিমধ্যে আটক করে সন্ত্রাসী কায়দায় বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত গৃহবধূ বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় উপজেলার মথুরাপুর ইউপির গয়েশপুর গ্রামের কলাতাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর ওই গ্রামের শাহাদুলের স্ত্রী মহিমা (৩৬) তার মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী চাচাশ্বশুর দুদুর বাড়িতে যায়। সেখান থেকে রাত প্রায় ৯টার সময় তার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মুন্নাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় মহিমার বাড়ির অদূরে কলাবাগানের ভেতর আগে থেকে ওত পেতে থাকা পার্শ্ববর্তী মথুরাপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪৫) লাঠি নিয়ে গৃহবধূ মহিমার ওপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে জখম করে। এরপর টেনে হেচড়ে কাপড় চোপড় খুলে বিবস্ত্র করে। এসময় মহিমা ও তার ছেলের চিৎকারে প্রতিবেশী সাইদুল, পাপিয়া, শিখা, রেখাসহ অনেক লোকজন ছুটে এসে গৃহবধূ মহিমাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। লোকজন আসতে দেখে আনোয়ার পালিয়ে যায়। ওই রাতে মহিমাকে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরেরদিন গত বুধবার বদলগাছী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডে ১৫ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়।
হাসতাপালে আহত গৃহবধূ মহিমা ও তার ছেলে মুন্না জানান, লম্পট আনোয়ার দীর্ঘদিন থেকে মহিমার ভাসুর গোফফারের ছেলে গোলাপের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো এবং গোলাপের স্ত্রীর সঙ্গে আনোয়ারের গোপন সখ্যতা রয়েছে। বিষয়টি মহিমা কয়েক দিন দেখেছে এবং সর্বশেষ ঘটনার আগের দিন সোমবার এ বিষয়ে মহিমা আনোয়ারকে ওই বাড়িতে যেতে নিষেধ করে। এ নিয়ে আনোয়ার মহিমাকে শাসন গর্জন করে এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরের দিন মঙ্গলবার সুযোগ বুঝে আনোয়ার মহিমার ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে মারপিট করে।
এ বিষয়ে মথুরাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মহিমা গুরুত্বর আহত অবস্থায় বিচার চাইতে এসেছিলো। নারী নির্যাতনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আইনের ব্যাপার বলে উন্নত চিকিৎসা শেষে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি তাকে। তিনি আনোয়ারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।