শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বদলগাছী প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছীতে বাবাকে হত্যার অভিযোগে মেয়ে ও জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১০ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার জাইযাতা গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার তিন দিন আগে জামাই ও মেয়ের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করে থানায় জিডি করেছিলেন শশুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত আফছার আলী মন্ডলের বড় ছেলে টুরু মিয়ার বসত ভিটার ১২ শতক জমি লিখে চায় মেয়ে ও জামাই। দিতে অস্বীকার করলে মেয়ে ও জামাইয়ের সাথে বাবার বিরোধ শুরু হয়। অভিযোগ উঠে মাঝে মধ্যে মেয়ে জামাই মারধরও করেছে। গত ৭ নভেম্বর মেয়ে-জামাই আবারও তাকে মারধর করে।
এ নিয়ে অভিযোগ তুলে বাবা টুরু মিয়া মেয়ে আঙ্গুর বেগম ও জামাই আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিলেন। থানা পুলিশ গত ১০ নভেম্বর বিকালে অভিযোগ তদন্তে ঘটনাস্থলে গেলে বাদীর লাশ দেখতে পান। এ সময় লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান।
জামাই ছালাম জানান, সে ঘর জামাই থাকে। শ্বশুর টুরু মিয়ার খুব রাগ প্রায় মেয়ের সাথে ঝগড়া লাগে কিন্তু মারামারি কখনো হয় নি। তিন দিন আগে ঝগড়া হয়েছে, সেদিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে শুনেছি। জামাই আরো বলেন, শ্বশুর শুক্রবার থেকে পাতলা পায়খানা করছে। হাটাহাটি করলে টলমল করে। সে চকিতে শুয়েছিল। নড়াচড়া করতে গিয়ে চকির চিপাই পড়ে গিয়ে বুকে আঘাত পায় এবং গ্রিলের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে হাতের উপর কেটে যায়। ঘটনার সময় তাকে কেউ মারেনি।
শ্বশুর থানায় অভিযোগ করেছে তাও জানা ছিল না। পুলিশ যাওয়ার পর বিষয়টি জানলাম। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মেয়ে জামাইকে গ্রেপ্তার করেছে। টুরু মিয়ার দুই বিয়ে করে। প্রথম পক্ষের এক ছেলে রয়েছে। দ্বিতীয় পক্ষের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ঘর জামাই রেখেছে। প্রথম পক্ষের ছেলে বাবু থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ মেয়ে জামাইকে গ্রেপ্তার করে।
বদলগাছী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) শাহজাহান আলী জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মেয়ে ও জামাইকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।